সালাহর জোড়া গোলে জয় দিয়ে বছর শুরু লিভারপুলের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফ্রিকান নেশন্স কাপ খেলতে যাওয়ার আগে ক্লাব ফুটবলে এটি ছিল মোহাম্মদ সালাহর শেষ ম্যাচ। সেখানে শুরুতে ধাক্কা খেলেও পরে তা পুষিয়ে নিয়েছেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড। প্রথমে পেনাল্টি মিস করলেও পরে তিনিই ম্যাচে এগিয়ে নিয়েছে লিভারপুলকে। পরে সেই পেনাল্টি থেকেই করেছেন আরও একটি গোল। এতে শেষ পর্যন্ত নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান পোক্ত করলো অল রেডরা।

সোমবার অ্যানফিল্ডে ম্যাচে ছয়টি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ঘরের মাঠে বেশ দাপটের সঙ্গেই পুরো ম্যাচ খেলেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ম্যাচে তাদের নেওয়া মোট ৩৪টি শটের ১৫টিই ছিল লক্ষ্যে। এদিকে নিউক্যাসলের মোট শট পাঁচটি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের দারুণ প্রতিচ্ছবি মিললেও প্রথমার্ধ থাকে গোলশুন্য।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় গোলের মেলা। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে দারউইন নুনেসের বাড়িয়ে দেওয়া বলকে জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে নেন সালাহ। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। মিনিট চারেক পরেই আলেক্সান্দার ইসাকের গোলে সমতায় ফেরে নিউক্যাসল। সেখানে কিছুটা চাপে পড়লেও ৭৪তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় অল রেডরা। দিয়োগো জটার পাস থেকে দারুণ শটে গোলের দেখা পান ইংলিশ মিডফিল্ডার কার্টিস জোন্স।

মিনিট তিন বাদে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় কোডি গাকপোর গোলে। সেখানে অ্যাসিস্টের পর ৮৬তম মিনিটে ফের গোল করেন সালাহ। এর আগে ৮১তম মিনিটে ম্যাচে নিজেদের দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় নিউক্যাসল। তবে তা খুব একটা বাধা তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকদের জয়ে।

এই জয়ে ২০ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইলো লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে অ্যাস্টন ভিলা।

   

বেয়ারস্টো-নারাইনদের মহাকাব্যিক দ্বৈরথে যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলটা রীতিমত রান উৎসবের খেলায় পরিণত হয়েছে। দিনকে দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড। ২৬০ এর বেশি রান হচ্ছে নিয়মিতই। এবার শুরু হয়েছে আড়াইশর বেশি রান তাড়ার মহড়া। পাঞ্জাব দেখালো ২৬১ রানও তাড়া করা সম্ভব। তাও আবার ৮ বল হাতে রেখে। কলকাতার বিপক্ষে পাঞ্জাবের এই রান তাড়ার ঘটনা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ার মাইলফলক।

কলকাতা এবং পাঞ্জাব দুই দল মিলে ছক্কা হাঁকিয়েছে ৪২টা। যেটা টি-টোয়েন্টি একম্যাচে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ। আগে ছিলো ৩৮টা।

এই রান তাড়ার পথে পাঞ্জাব ছক্কা মেরেছে ২৪ টা। যেটা টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২৬ ছক্কা মেরে এক নম্বরে রয়েছে নেপাল।

মজার ব্যাপার হচ্ছে দুই দলের চার ওপেনারের চারজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। কেকেআরের হয়ে ফিল সল্ট ৭৫ এবং সুনীল নারিন করেন ৭১ রান। পাঞ্জাবের হয়ে প্রভসিমরান করেন ৫৪ আর জনি বেয়ারস্টো অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে।

এই চারজন ছাড়াও ম্যাচে ফিফটির দেখা পেয়েছেন শশাঙ্ক সিং। পাঁচ ব্যাটারের প্রত্যেকেই ফিফটি করেছেন দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে। যেটা টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম।

এই নিয়ে সপ্তম বারের মতো দুইশো প্লাস স্কোর চেজ করেছে পাঞ্জাব। টি-টোয়েন্টিতে কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে যেটা সর্বাধিক।

;

ফিলিস্তিনের ক্রীড়াবিদদের সুখবর দিল অলিম্পিক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর দেশটিকে অলিম্পিক সব টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়নি তারা। এই কারণে বিভিন্ন মহল থেকে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’-এর অভিযোগ ওঠে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) বিরুদ্ধে। সে অভিযোগের মুখেই এবার প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের বিষয়ে ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদদের সুখবর দিয়েছে সংস্থাটি।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আইওসির সভাপতি টমাস বাখ প্যারিস অলিম্পিকে ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ী, প্যারিস অলিম্পিকে যদি ফিলিস্তিনের কোনো ক্রীড়াবিদ সাধারণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সুযোগ নাও পান, তবু দেশটির ৬ থেকে ৮ জন ক্রীড়াবিদকে মূল আসরে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেবে আইওসি।

সুইজারল্যান্ডের লজানে অলিম্পিক সদরদপ্তরে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাখ বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে ফিলিস্তিনের কোনো ক্রীড়াবিদই যদি মাঠের খেলা দিয়ে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন না করতে পারে, তবু ফিলিস্তিনের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি আমন্ত্রণের মাধ্যমে লাভবান হবে।’

বাখ এও জানিয়েছেন যে, গাজায় যুদ্ধ শুরু পর থেকেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বিভিন্নভাবে খেলোয়াড়দের অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া এবং বাছাইয়ে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে এসেছে।

;

শাহরুখের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা প্রীতি জিনতার দলের শশাঙ্কের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ২৬১ রান করেও পাত্তা পায়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৮ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দেখা পেয়ে যায় পাঞ্জাব কিংস। ম্যাচের শেষদিকে পাঞ্জাবের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শশাঙ্ক ২৮ বলে ২ চারের সঙ্গে ৮ ছক্কায় ৬৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে পাঞ্জাবকে এনে দেন ইতিহাসগড়া জয়। 

ম্যাচের পর কলকাতার মালিক শাহরুখ খানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটাও দিয়েছেন আরেক বলিউড তারকা প্রীতি জিনতার দলে খেলা এই তরুণ ক্রিকেটার।

পাঞ্জাব কিংসের এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শাহরুখের দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে দেয়া সিগনেচার পোজ দিচ্ছেন শশাঙ্ক। ব্যাকগ্রাউন্ডে শাহরুখ খানের আইকনিক সিনেমা দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র গান।

শুধু শশাঙ্কই নন, শাহরুখের দল কলকাতার বোলারদের শাসন করেছেন ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো এবং প্রভসিমরান সিংও। ৪৮ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে পাঞ্জাবকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বেয়ারস্টো। আর ২৬২ রান তাড়ায় ২০ বলে ৫৪ রান করে পাঞ্জাবকে শুরুতেই ছন্দ এনে দেন প্রভসিমরান সিং।

;

বোলারদের বাঁচান, বললেন অশ্বিন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে চলতি আসরে প্রায় প্রতিম্যাচেই দেখা যাচ্ছে রানপাহাড়। গতরাতে কলকাতা-পাঞ্জাব ম্যাচেও সর্বোচ্চ রানে তাড়া করার বিশ্বরেকর্ড গড়ে ব্যাটিং দাপটে ম্যাচ জিতে নিল পাঞ্জাব। এরকম ‘ব্যাটিং নির্ভর’ ম্যাচ যেখানে বোলারদের আগের মত বড় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না, এই বিষয়টি ক্রিকেটের সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে বলেও মতবাদ দিচ্ছেন অনেক বিশ্লেষক এবং ক্রিকেটের দর্শকরা।

কলকাতার দেওয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য ৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই টপকে গেছে পাঞ্জাব। এই ম্যাচের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ পোস্ট দিয়েছেন ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। সাম্প্রতিক সময়ে বোলারদের অসহায়ত্ব এবং মার খেতে দেখে এ বিষয়ে নিজের মনোভাব জানিয়েছেন তিনি।

পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘অনুগ্রহ করে কেউ বোলারদের বাঁচান।‘ এই কথাটা লেখার পাশাপাশি অশ্বিন ‘এসওএস’ শব্দটিও তিনবার লিখেছেন। এই ইংরেজি শব্দটি দিয়ে বোঝায়-‘সেভ আওয়ার সোলস।’ অর্থাৎ আমাদের জীবন বাঁচাও। সাধারণত বিপদে পড়লে জীবন বাঁচাতে এই সংকেত ব্যবহার করা হয়।

পাঞ্জাব যখন গতকাল নিজেদের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিল, সেসময় বিস্ময়ের সঙ্গে অশ্বিন আরও একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ২৬০‍+ রান তাড়া করতে নেমে সর্বশেষ ২ ওভারেই প্রতি বলে বলে রান উঠেছে। এটা হজম করতেও সময় লাগে।’

এই পোস্টগুলো দিয়ে মূলত তিনি বুঝিয়েছেন যে বোলারদের বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নেই। প্রতি ম্যাচেই ব্যাটারদের কাছে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন বোলাররা। আগে যেমন ক্রিকেটটা ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ ও সম্ভাবনা ছিল, এখন পরিস্থিতি তেমনটা নেই। এখন বোলারদের থেকে ব্যাটারদের কৃতিত্বটাই বেশি চোখে পড়ছে এবং বাস্তবেও বোলারদের থেকে ব্যাটারদের দাপটই বেশি।

অশ্বিন এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলছেন। ৮ ম্যাচে ৭ জয়ের সঙ্গে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে তারা। ব্যাটারদের তাণ্ডবে বর্তমানে বোলাররা যেখানে অপদস্ত, এমন সময়ে অশ্বিন বেশ নিরাপদ অবস্থানেই আছেন। ৭ ম্যাচে মাত্র ১টি উইকেট শিকার করলেও তার ইকোনমি রেট ৮.৮৯।

;