লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে শীর্ষেই রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে শনিবার রাতে খেলতে নেমেছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে লক্ষ্ণৌ, ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে রাজস্থান তাদের শীর্ষস্থান দাপটের সঙ্গেই ধরে রাখল।

এদিন টসে জিতে শুরুতে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজস্থান। শুরুতেই স্বাগতিকদের ওপেনার কুইন্টন ডি কক ফিরে গেলেও ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অধিনায়ক কে এল রাহুল। ৪৮ বলে ৭৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এছাড়াও দিপাক হুদার ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংসটিও দলের রানের পাল্লা ভারি করতে সহায়তা করেছে। নির্ধারিত ওভার শেষে লক্ষ্ণৌয়ের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৬ রানে।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে সাবলীল খেলা দেখাতে থাকেন রাজস্থানের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জশ বাটলার। তবে দলীয় ৬০ রানে ভাঙ্গে এই জুটি। এরপর উইকেটে নামা অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন বরাবরের মতো গতরাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে টিকে থেকে খেলেছেন ৩৩ বলে অপরাজিত ৭১ রানের অসাধারণ ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ধ্রুব জুরেল, করেছেন ৩৪ বলে ৫২ রান।

ব্যাটিং নৈপুণ্যে শেষে এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান। এই জয়ের পর ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিজেদের দখলেই রাখল তারা। দুইয়ে থাকা কলকাতার সঙ্গে রাজস্থানের পয়েন্টের ব্যবধান ৬। অপরদিকে ৯ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্টের সঙ্গে টেবিলের চারে আছে লক্ষ্ণৌ।

   

আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে মেলাতে চান না শান্ত 



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে আড়াইশোর বেশি রান হচ্ছে নিয়মিতই। অনেকক্ষেত্রে এই স্কোরও ডিফেন্ড করাটাও অসাধ্যে পরিনত হয় বোলারদের জন্য। আইপিএল থেকে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের সিরিজের দিকে তাকালে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। জিম্বাবুয়ে আগে ব্যাট করলে রান হয় ১২০ থেকে ১৩০। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেড়শোর আশেপাশে। যেটা জিম্বাবুয়ে তিন দিন চেজ করতে গিয়ে সফলতা পেয়েছে মাত্র একদিন। 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও রানের রেঞ্জটা এমনই হবে, বড়জোর ১৫-২০ রান বাড়বে, এমনটাই মত টাইগার ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্তের। বিশ্বকাপের আগে আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট এক নয়। 

আইপিএলে ২০০-২৫০ রানের সেসব উইকেট থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উইকেটের বিস্তর ফারাক আছে বলে জানান শান্ত। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আইপিএল যে উইকেটে হয়েছে..আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলানোই যাবে না। আমার মনে হয়, গত বছর পিএসএলেও এরকম রান হয়েছে, ২০০ প্লাস, আড়াইশ রানও হয়েছে। ’

আন্তর্জাতিকে ১৬০ থেকে ২০০ রানের সংগ্রহকে ভালো স্কোর মানছেন শান্ত। ‘আন্তর্জাতিকে আমি যতটুকু জানি ১৬০ থেকে ১৭৫-১৮০, ২০০ রান যদি কোনো দল করে এটা খুব ভালো স্কোর। এটা সচরাচর রেগুলার কিন্তু দেখা যায় না। আমার মনে হয় বিশ্বকাপে এরকমই রান হবে,  ১৬০-৮০ এর মধ্যেই থাকবে ভালো উইকেটে। এর ভেতরই বোলারদের ডিফেন্ড করতে হবে বা রান চেজ করতে হবে। আইপিএলের সঙ্গে তুলনা করাটা আমার মনে হয় না কখনোই যৌক্তিক।’

;

মঙ্গলবার শুরু ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নয় বছর ধরে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) সংগঠনের সদস্যদের জন্য আয়োজন করছে স্পোর্টস কার্নিভাল। সে ধারা অব্যাহত রেখে এবারও স্পোর্টস কার্নিভাল আয়োজিত হচ্ছে।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নেবেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবক’টি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বিএসপিএ কার্যালয়ে ক্যারম ডিসিপ্লিনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই আসর। প্রধান অতিথি হিসেবে স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধন করবেন ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন ও সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিল্টন।

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল উপলক্ষ্যে আজ (রবিবার) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসপিএ’র সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিব, ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন ও সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিল্টন, বিএসপিএ সাধারণ সম্পাদক  মো. সামন হোসেন, ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল আলম।

;

তাসকিনের চোটে বাড়ছে দুশ্চিন্তা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ে সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেছেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে সিরিজসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য তার খেলা হয়নি। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে পাওয়া চোটের সঙ্গে লড়ছেন তিনি।

গত শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিংয়ের সময় পাঁজরে ব্যথা পান তাসকিন। সে কারণেই শেষ ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি তার।

গত দুই দিন ধরে সে চোটে ভুগছেন তাসকিন। ব্যথা না কমায় আজ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিসিবি।

চোটের সঙ্গে তাসকিন আহমেদের সখ্যতা পুরোনো। সে কারণেই টেস্ট থেকে আপাতত বিশ্রামে আছেন তিনি। গেল বিশ্বকাপে পাওয়া কাঁধের চোট তাকে ভুগিয়েছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেলতে পারেননি তিনি। ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে।

আর কুড়ি দিন পরেই বিশ্বকাপ। ঠিক এই সময় তার চোট দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের।

;

নির্ভার রাজা, কণ্ঠে তারুণ্যের জয়গান



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা হয়নি জিম্বাবুয়ের। দেশটির ক্রিকেট ভবিষ্যৎ পড়ে গেছে শঙ্কায়। যা এখনও পোড়ায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে। তাই এক রকম বাধ্য হয়েই নতুন দল গড়চ্ছে দেশটি। পরিকল্পনা করছে ভবিষ্যৎ ক্রিকেট নিয়ে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ সফরে সুযোগ করে দেওয়া হয় দেশটির তরুণ ক্রিকেটারদের। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন সিকান্দার রাজা। আর সেই সফরটা লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে জিম্বাবুয়ে।

সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে দারুণ জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে সফরকারী। জয় নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছে রাজার দল। যা নিয়ে তৃপ্ত তিনি। তবে মুগ্ধ হয়েছেন দলটির তরুণ ক্রিকেটারদের লড়াই করার মানসিকতায়। জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মাদান্ডে ও ফারাজ আকরামে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ ক্রিকেট দেখছেন তিনি।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খুব একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলেও শেষ তিন ম্যাচে দারুণ লড়াই করেছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে তো অল্পের জন্য জয়টাও পাওয়া হয়নি জিম্বাবুয়ের। যার দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন রাজা। তবে শেষটা জেতায় আছে তৃপ্তিও। রাজা বলেন, ‘জয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। গত তিনটি ম্যাচে আমরা জয়ের খুব কাছাকাছি ছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত অল্প ব্যবধানে হেরেছি। এ ম্যাচে তাই জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। তবে আমার কাজ যেহেতু রান করা আগের ম্যাচগুলোতে রান না পাওয়ায় শেষদিকে অল্প ব্যবধানে হারায় আমি ভেবেছিলাম এটা আমারই কাজ ছিল। তবে এ ম্যাচে এটি হয়েছে। আর তাতে আমি খুশি।’

তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতি মুগ্ধতার কথা জানিয়ে রাজা আরও বলেন, ‘এই সিরিজে অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে জিম্বাবুয়ের অনেক কাজ করার আছে। আমি স্কোয়াড নিয়ে খুব গর্বিত। আমি নিশ্চিত এই তরুণরা জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

;