‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে গুজরাটের ২০০ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ওভারেই সাজঘরে পাড়ি জমান ঋদ্ধিমান সাহা। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার ও গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমান গিলও। ৭ ওভারে দলীয় সংগ্রহ কেবল ২ উইকেটে ৪৭ রান। রান রেট ৭-এর নিচে। এই রান বন্যার আইপিএল মৌসুমে যা অনেকটাই বেমানান। পরে শেষে এসে গুজরাটের স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে পুরো ২০০ রান। মাঝের এই পথটুকু গুজরাট পাড়ি দিয়েছে সাই সুদর্শনের ৮৪ রানের এক ‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে। 

এ নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে ৪৫তম ম্যাচে এসেই দুই ইনিংসে মিলিয়ে মোট ২৭ বার দুইশ পেরোনো সংগ্রহ দেখল বিশ্বের অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি। 

গুজরাটের মাঠ আহমেদাবাদে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে সেখানে যেন একাই হাল ধরেন দলটির ২২ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটার সুদর্শন। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। তৃতীয় উইকেটে এসে ৮৬ রানের সময় উপযোগী জুটি পায় গুজরাট। সেখানে ৩০ বলে শাহরুখ ৫৮ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন সুদর্শন।

শেষ ৫ ওভারে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করেন সুদর্শন। তার ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের অপরাজিত এই ইনিংসে চড়ে পুরো ২০০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় গত আসরের রানার্স-আপ দলটি।

আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন সুদর্শন। এ নিয়ে ১০ ম্যাচে ৪১৮ রান করেছেন তিনি। আছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার দুইয়ে। ৯ ম্যাচে ৪৩০ রান করে শীর্ষে আছেন প্রতিপক্ষ দলের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি।

 

   

উগান্ডার মাসাবাকে ছাড়িয়ে শীর্ষে বাবর 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের আগের দুই ম্যাচেই ফিফটির দেখা পেয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। আইরিশ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ রান করেছিলেন এই ডানহাতি তারকা ব্যাটার। তবে তার দল হেরেছিল পাঁচ উইকেটে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ৭ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ সমতায় আনে পাকিস্তান। তবে এ ম্যাচে ব্যাট হাতে বাবর ছিলেন ব্যর্থ। ৪ বল খেলে ফিরেছেন শূন্য রানে। তবে তার দলের জয়ের পর অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক। 

টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে বাবরের নেতৃত্বে এ নিয়ে ৪৫টি ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। এটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো অধিনায়কের নেতৃত্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। এই কীর্তিতে পোঁছাতে বাবর ছাড়িয়ে গেছেন উগান্ডার ব্রায়ান মাসাবাকে। 

মাসাবার অধীনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪টি ম্যাচ জিতেছে উগান্ডা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের নবম আসরে তার নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে আফ্রিকান দেশটি। 

অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের সেই তালিকায় ৪২ ম্যাচ জয়ে যৌথভাবে তিনে আছেন ইংল্যান্ডের মরগ্যান ও আফগানিস্থানের আসগর আফগান। এছাড়া যৌথভাবে চারে আছেন দুই ভারতীয় মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রোহিত শর্মা। তাদের অধীনে ভারত জিতেছে ৪১টি করে ম্যাচ। 

এদিকে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি জয়ের তালিকার শীর্ষেও দুটি নাম। সমান ১৬ ম্যাচে জয়ে যৌথভাবে শীর্ষে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এতে বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অধীনে ১১ ম্যাচে জয়ের সংখ্যাটি ৬। 

;

এমবাপের বিদায়ী ও শিরোপা উৎসবের ম্যাচে পিএসজির হার 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন দুয়েক আগেই কিলিয়ান এমবাপে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেন তার পিএসজি ছাড়ার বিষয়। গত রাতে পিএসজির ঘরের মাঠে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল এমবাপের শেষ ম্যাচ। সঙ্গে লিগ ওয়ান শিরোপা জয়ের উৎসব। কেননা লিগের আগেই ম্যাচে তিন ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপা জেতে লুইস এনরিকের দল। তবে এমবাপে বিদায়ী আর লিগ শিরোপার জয়ের ম্যাচটা শেষ হলো সাদা-কালো ক্যানভাসের মতোন। কেননা তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৩-১ ব্যবধানের হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

উদযাপন মুহূর্তের ম্যাচগুলো যেন এভাবেই বাজভাবে শেষ হয়। কথা পিএসজি কোচ এনরিকের সুর থেকে মেলানো। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘উদযাপনের সঙ্গে ম্যাচগুলো সাধারণত খারাপভাবেই শেষ হয। ফুটবলের, এটি ফুটবলের পেশাদার হিসাবে আমার অভিজ্ঞতা।’ 

ঘরের মাঠে বিদায়ী ম্যাচের শুরুটা রাঙিয়েই তুলেছিলেন এমবাপে। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই তুলুজের জালে বল জড়ান এই ফরাসি তারকা ফরোয়ার্ড। তবে উদযাপনের শেষ সেখানেই। ১৩ মিনিটেই সমতা ফেরায় তুলুজ এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল দেয় সফরকারীরা। 

লিগে আরও দুটি ম্যাচ বাকি পিএসজির। শিরোপা নিশ্চিত করা দলটির ৩২ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ৭০। এই ম্যাচের হারে অবশ্য সমীকরণে আসেনি কোনো বদল। ম্যাচ শেষে তাই দল মেতেছে শিরোপা উৎসবেই।  

পিএসজির হয়ে সাত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩০৭ ম্যাচে ২৫৬ গোল করেছেন এমবাপে। অ্যাসিস্ট করেছেন ১০৮টি।

;

ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফের শীর্ষে আর্সেনাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে শিরোপার লড়াইয়ে রোমাঞ্চ যেন কমছেই না। শীর্ষের দুই দল আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি কেউই কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। যার যার ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে টেবিল টপার হওয়ার দাপট দেখাচ্ছে দুই দলই।

রবিবার রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে আবারও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান নিজেদের নামে করে নিল আর্সেনাল। গতরাতের এই জয়ের পর ৩৭ ম্যাচ শেষে গানারদের পয়েন্ট ৮৬। এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ৮৫।

এদিন ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আর্সেনালকে চাপা রাখার চেষ্টা করে ইউনাইটেড। তবে চাপ সামলিয়ে বেশ ছন্দেই খেলতে থাকে পচেত্তিনোর শিষ্যরা। ২০তম মিনিটে কাই হাভার্টজের বাড়ানো বল নৈপুণ্যের সঙ্গে ইউনাইটেডের জালে জড়ান লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড।

এগিয়ে গিয়ে যেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় সফরকারীরা। বেশকিছু আক্রমণে দিশেহারা করে তোলে ইউনাইটেডের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষককে। সাগতিকরাও পাল্টা আক্রমণের সুযোগ তৈরি করে, তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা না পাওয়ায় নিজেদের মাঠেই হারের স্বাদ হজম করতে হয় এরিক টেন হাগের দলকে।

লিগে আর্সেনালের বাকি আর একটিমাত্র ম্যাচ। সেখানে জয় তুলে নিলে তাদের পয়েন্ট হবে ৮৯। অপরদিকে সিটির পয়েন্ট ৮৫, হাতে বাকি দুই ম্যাচ। যেগুলোয় জিতলে ৯১ পয়েন্টের সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার লিগ শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে গার্দিওলার শিষ্যরা।

;

ফখর-রিজওয়ানের তাণ্ডবে সিরিজে সমতা ফেরাল পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না বাবর আজমদের কাছে। জয় ছিনিয়ে নিতেই মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা সেটি তাদের পারফরম্যান্সই বলে দেয়। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এতে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল তারা।

ডাবলিনে এদিন টসে জিতে শুরুতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর। ওপেনিং জুটির ব্যর্থতার পর দলের হাল আইরিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটার লর্কান টাকার। খেলেন ৩৪ বলে ৫১ রানের দারুণ এক ইনিংস। শেষে গ্যারেথ ডেলানির ১০ বলে ২৮ রানের ক্যামেও ইনিংসের পর আয়ারল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৩ রান।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে ওপেনার সাইম আইয়ুব ও দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক বাবর আজম সাজঘরে ফেরত যান। পাকিস্তানকে চাপে ফেলার পথেই ছিল স্বাগতিক বোলাররা। তবে পাকিস্তানের আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান যেন ছিলেন অন্য মেজাজে। উইকেটের আরেক প্রান্তে ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১৪০ রানের জুটি।

মূলত রিজওয়ান-ফখর জুটির তাণ্ডবেই ম্যাচ ফসকে যায় স্বাগতিকদের হাত থেকে। শেষে ফখর সাজঘরে ফেরত গেলে ১০ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো একটি ইনিংস খেলার মাধ্যমে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে নেন আজম খান। ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার মাধ্যমে ম্যাচসেরা হন রিজওয়ান।

সিরিজে নির্ধারনী ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

আয়ারল্যান্ডঃ ১৯৩/৭ (২০ ওভার); টাকার ৫১, ডেলানি ২৮*; শাহিন ৩-৪৯, আব্বাস ২-৩৩।

পাকিস্তানঃ ১৯৫/৩ (১৬.৫ ওভার); ফখর ৭৮, রিজওয়ান ৭৫*; হোয়াইট ১-৩৯, গ্রাহাম ১-৩২।

ফলাফলঃ পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরাঃ মোহাম্মদ রিজওয়ান।

;