মুস্তাফিজের পর পাথিরানাকেও হারাল চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে চেন্নাই সুপার কিংসের ক্যাম্প ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলের অন্যতম সেরা এই পেসারকে হারানোর পর লঙ্কান পেসার মাথিশা পাথিরানাকে ঘিরে আশা ছিল তাদের। আইপিএলের বাকি অংশ তুরুরাজ গায়কোয়াড়েড় দলের তুরুপের তাস হতে পারতেন এই গতিতারকা। কিন্তু কীসের কী! হ্যামস্ট্রিং চোটে যে আইপিএল থেকেই ছিটকে গেলে এই লঙ্কান পেসার।

ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, চোট থেকে সেরে উঠতে শ্রীলঙ্কায় ফিরে গেছেন পাথিরানা। গত মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন এই পেসার, সেজন্য আইপিএলে চেন্নাইয়ের প্রথম ম্যাচটিও মিস করেছিলেন।

বোলিং বিভাগ নিয়ে এবার বেশ ভাবনাতেই পড়তে হচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইকে। একদিকে মুস্তাফিজ এবং পাথিরানাকে হারিয়েছে দলটি, অন্যদিকে দলের মূল ভারতীয় পেসার দীপক চাহারও চোট নিয়ে এখন মাঠের বাইরে। দলের একমাত্র বিদেশি পেসার হিসেবে আজ (রবিবার) পাঞ্জাবের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৩৬ বয়সী রিচার্ড গ্লিসনকে খেলাচ্ছে তারা। ভারতীয় আরেক পেসার তুষার দেশপান্ডে চোট থেকে সেরে উঠে এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফিরেছেন।

১০ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এখন আইপিএলের পয়েন্টে টেবিলের পাঁচ নম্বর স্থান দখল করে আছে চেন্নাই। প্লে-অফের টিকিট পেতে শেষ চারটি ম্যাচ তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সে সময়ই বোলিং বিভাগে একের পর এক দুঃসংবাদ চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে।

   

বেটিং কেলেঙ্কারিতে ১০ বছর নিষিদ্ধ হতে পারেন ব্রাজিলের পাকেতা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের বেটিং আইন লঙ্ঘনের দায়ে বড় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন লুকাস পাকেতা। এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযোগ গঠন করেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।

২০২২ ও ২০২৩ সালে অন্তত চারটি ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে হলুদ কার্ড দেখার অভিযোগ উঠেছে পাকেতার বিরুদ্ধে। ওই দুই বছরে ওয়েস্ট হ্যামের জার্সিতে লিডস, বোর্নমাউথ, লেস্টার সিটি ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে তার হলুদ কার্ড দেখার ঘটনাগুলো সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তা তদন্ত করে এফএ। এবার সে অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেছে তারা।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানিয়েছে, যদি পাকেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে ১০ বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। এর আগে এফএ কাপের ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে কার্ড দেখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাবেক রিডিং ডিফেন্ডার কিনান আইজ্যাক।

এফএ’র কাছে অভিযোগের ব্যাপারে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য ৩ জুন পর্যন্ত সময় পাচ্ছেন পাকেতা। এরপর প্রিমিয়ার লিগ একটি স্বাধীন প্যানেলের মাধ্যমে এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু করতে পারে।

পাকেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ফলে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে ওয়েস্ট হ্যাম। ক্লাবটি এখন এই বিষয় সামাল দিতে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে আরেক ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।

উল্লেখ্য, আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য কোপা আমেরিকার ব্রাজিল দলে পাকেতাকে রেখেছেন দেশটির কোচ দরিভাল জুনিয়র।

;

ক্লাব ছাড়ছেন মিলানের লিগ শিরোপা খরা ঘোচানো কোচ পিওলি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই এসি মিলানকে বিদায় বলছেন কোচ স্তেফানো পিওলি। আগামী মৌসুম পর্যন্ত সান সিরোতে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৫ মে) সালেরনিতানার বিপক্ষে সিরি আ’র ম্যাচটি হবে মিলানের ডাগআউটে পিওলির শেষ অ্যাসাইনমেন্ট।

২০১৯ সালে মিলানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন পিওলি। ২০২২ সালে প্রায় ১১ বছরের লিগ শিরোপা খরা কাটিয়ে স্কুদেত্তো জেতান মিলানকে। পরের মৌসুমে অবশ্য সে ধারা ধরে রাখতে পারেনি তার দল। চতুর্থ স্থানে থেকে শেষ করে লিগ। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলাকে সেবার প্রাপ্তি হিসেবে দেখছিলেন সমর্থকরা।

চলতি মৌসুমে লিগ টেবিলে অবস্থানের উন্নতি হয়েছে মিলানের। লিগে দ্বিতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছে তারা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন আর নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টারের ফারাকটা যে ১৯ পয়েন্টের। সেটাই স্বস্তি দিচ্ছিল না তাকে। সে অস্বস্তি থেকেই কি মিলানকে বিদায় বললেন ৫৮ বছর বয়সী পিওলি? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া অবশ্য মুশকিল।

তবে পিওলির বিদায়ে তার প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেনি মিলান। এমনকি বিদায়বেলায় সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের ইউরোপীয় ফুটবলে ‘নতুন করে প্রতিষ্ঠিত’ করার কৃতিত্বও তাকে দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

;

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলছেন জিরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের হয়ে ক্যারিয়ারটা বেশ বর্ণিল অলিভিয়ের জিরুর। দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি, চলতি শতকে একমাত্র যে বিশ্বকাপ জিতেছে দলটা, তাতে বড় অবদান ছিল তার। সেই জিরু এবার ফ্রান্স দলকে, আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলতে চলেছেন। 

আসছে ইউরো দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি। সম্প্রতি বিষয়টি জানিয়েছেন সাবেক আর্সেনাল ফুটবলার।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপের সঙ্গে আলাপে অবসরের ঘোষণাটা দেন জিরু, ‘ল্য ব্লু’র সঙ্গে এই ইউরোই হতে যাচ্ছে আমার শেষ টুর্নামেন্ট। ফ্রান্সের জার্সিতে খেলাটাকে অনেক মিস করব।’

কিলিয়ান এমবাপে আছেন, উসমান দেম্বেলে, কোলো মুয়ানি, কিংসলে কোমানরা আছেন। সঙ্গে উঠে আসছেন ব্র্যাডলি বারকোলা, ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কুদের মতো তরুণ তুর্কিরা। তাদের সুযোগ করে দিতেই সরে যাচ্ছেন জিরু। 

বললেন, ‘তরুণদের জায়গা করে দিতে হবে। আপনি যেন খুব বেশি সময় কোনো কিছু আঁকড়ে ধরে না থাকেন, সে বিষয়েও সতর্ক হতে হবে। সঠিক ভারসাম্য খুঁজে পাওয়াটা জরুরি।’

ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোল তার। ১৩১ ম্যাচ খেলে ৫৭ গোল করেছেন জিরু। গেল বিশ্বকাপে থিয়েরি অঁরির ৫১ গোলের রেকর্ডকে দুইয়ে ঠেলে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।

যদিও ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ অভিযানে ৪৬৫ মিনিট খেলে কোনো গোল না করে আলোচনার খোরাক হয়েছিলেন। কাতার বিশ্বকাপে অবশ্য চারবার জাল খুঁজে পেয়েছিলেন, তবে সেবার ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ফ্রান্সের।

ক্লাব ফুটবলকে অবশ্য এখনই বিদায় জানাচ্ছেন না তিনি। এসি মিলানের সঙ্গে চুক্তি শেষ তার। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিকে দেবেন তিনি।

;

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারের সেঞ্চুরিতে ‘প্রথম’ বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা বাংলাদেশের ভক্তরা এবং ক্রিকেটাররা নিঃসন্দেহে ভুলে যেতেই চাইবেন। একে তো র‍্যাংকিংয়ের নয় নম্বার দল হয়ে উনিশ নম্বার দলের কাছে সিরিজ হার; তার সঙ্গে নামের পাশে যোগ হয়েছে বিব্রতকর এক রেকর্ড। যে রেকর্ড এখন শুধুই বাংলাদেশের।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি প্রথম দল হিসেবে একশ হারের তেঁতোস্বাদ পেয়েছেন সাকিবরা। যেটার জন্য ম্যাচ লেগেছে ১৬৮ টা। ১০০ হারের বিপরীতে জয় মাত্র ৬৪টা। বাকী চার ম্যাচ পরিত্যক্ত। জয় হারের অনুপাত ০.৬৪। অর্থাৎ প্রতি একশ হারের বিপরীতে জয় ৬৪ টা।

সবমিলিয়ে হারের সংখ্যা থেকে পরিত্যক্তের রেজাল্ট বাদ দিলে বাংলাদেশ জয় শতকরা ৫৯.৫২ ভাগ। কমপক্ষে ১০০ ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে যেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সবার ওপরে জিম্বাবুয়ে, নিজেদের মোট ম্যাচের ৬৫.৫১ শতাংশ ম্যাচই হেরেছে তারা।

এই ১০০ হারে বাংলাদেশ হেরেছে ১৫টা দলের কাছে। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারানো ৫ম দল যুক্তরাষ্ট্র যারা সহযোগী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাদ দিয়েছে। বাকী চার দল আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, হংকং ও নেদারল্যান্ডস। আইরিশদের এখন টেস্ট স্ট্যাটাস থাকলেও ২০০৯ সালে যখন হারিয়েছিল তখন তাদেরও ছিল না টেস্ট স্ট্যাটাস।

ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার ক্যারিবিয়ানদের। ১৯৩ ম্যাচে তাদের হার ৯৯টা। তিনে থাকা লঙ্কানরা ১৮৯ ম্যাচে হেরেছে ৯৮টা।

;