কল ড্রপ: এক বছরে গ্রাহকদের ১৮.৫০ কোটি টাকার ক্ষতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ফোন ব্যবহারে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমছেই না। বরং দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। এতে গ্রাহকরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তেমনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন । কথা বলার সময় গত ১২ মাসে ৫২ দশমিক ৫৯ কোটিবার কল কেটে যাওয়ার (কল ড্রপ) শিকার হয়েছেন দেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এতে মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের প্রায় ১৮ দশমিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কল ড্রপ তখনই ঘটে যখন কোনও মোবাইল ফোন অপারেটরের সিগন্যাল দুর্বল থাকে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক টেলিকম পরিষেবার গুণমান মূল্যায়নের জন্য গঠিত কমিটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রাহকরা ৫২ দশমিক ৫৯ কোটিবার কল ড্রপের শিকার হয়েছেন। কল ড্রপ হলে গ্রাহককে ফ্রি টকটাইম দেওয়ার কথা মোবাইল ফোন অপারেটরদের। কিন্তু টেলিকম কোম্পানিগুলো তা দিচ্ছে না। এর মাধ্যমে তারা কমিশনের ২০১৬ সালের নির্দেশনা লঙ্ঘন করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপারেটররা প্রতি তিন থেকে সাত মিনিটের কল ড্রপের জন্য গ্রাহককে এক মিনিট ফ্রি টকটাইম দিচ্ছেন। সে হিসেবে গ্রাহকের টাকার মাত্র ২২ শতাংশ পরিশোধ করেছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। এর মানে হল ৫২ দশমিক ৫৯ কোটিবার কল ড্রপের জন্য মাত্র ১১ দশমিক ৬৬ কোটি মিনিট গ্রাহককে ফ্রি টকটাইম দিয়েছেন তারা। এতে গ্রাহকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৮ দশমিক ৪২ কোটি টাকা। যদি প্রতি মিনিটের সর্বনিম্ন কলচার্জ ০.৪৫ পয়সা ধরা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহকরা একই নেটওয়ার্কে ৩৭ দশমিক ৬ কোটি মিনিট কল ড্রপের শিকার হয়েছেন, যা অন-নেট কল নামে পরিচিত। এবং অন্যান্য নেটওয়ার্কে ১৪ দশমিক ৯৯ কোটি মিনিট, যা অফ-নেট কল নামে পরিচিত। প্রতিবেদন অনুসারে, অপারেটররা গ্রাহকদের অন-নেট কলের জন্য শুধুমাত্র কল ড্রপের অর্থ পরিশোধ করেছেন।

বিটিআরসি কল ড্রপের প্রধান কারণ হিসেবে মোবাইল অপারেটরদের ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সঙ্গে তাদের টাওয়ার সংযোগ করার ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে।

শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করে বিটিআরসিকে গত অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসের অফ-নেট কল ড্রপের ডেটা সরবরাহ করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাবের কারণে কোনও তথ্য দিতে পারেনি।

গ্রামীণফোন এখনও পর্যন্ত তার বেস ট্রান্সসিভার স্টেশনের (বিটিএস) মাত্র ১২ শতাংশ ফাইবার অপটিক ক্যাবলে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। রবি ১৮ শতাংশ এবং বাংলালিংক ১৩ শতাংশ করতে সক্ষম হয়েছে।

টেলিটক কমিটিকে জানিয়েছে, তাদের ৬০ শতাংশ টাওয়ার ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সঙ্গে সংযোগ করা হয়েছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গ্রাহকদের তাদের প্রাপ্য মিনিটের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অপারেটরদের। এর জন্য মিনিটের কোনও উচ্চসীমা নির্ধারণ করা যাবে না। কল ড্রপের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহকদের টক-টাইম ফেরত দিতে হবে এবং তাদের এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে। সভায় গ্রাহকরা এই টকটাইম ব্যবহার করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় আরও বলা হয়, টেলিটক তিন মাসের মধ্যে কল ড্রপের ডেটা সংগ্রহের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করা এবং সেই অনুযায়ী গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম সম্প্রতি বলেছেন, আমাদের আন্তরিক এবং নিরলস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কল ড্রপের ঘটনা ঘটেছে। যা টেলিযোগাযোগ খাতের একটি নিয়মিত বৈশিষ্ট্য। তবে, আমরা গ্রাহকদের কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করি।
বিটিআরসির কোয়ালিটি অব সার্ভিস প্যারামিটার অনুসারে, ২ শতাংশ কল ড্রপ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে গ্রহণযোগ্য, যা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের মানদণ্ডের সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলমের মতে, গত এক বছরে রবির কল ড্রপ মোট কলের ০.৭ শতাংশ থেকে ০.৮ শতাংশ।

বাংলালিংকের করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির প্রধান অঙ্কিত সুরেকা বলেন, বিটিআরসি কল ড্রপের জন্য ফ্রি টকটাইম চালুর আগেই আমরা গ্রাহকদের টকটাইম দিয়েছি। আমাদের এ ব্যবস্থা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কমিটিকে নিয়মিত রিপোর্ট করছি।

তবে গ্রামীণফোন এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

মোবাইল অপারেটরদের ন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ বলেছেন, লিফট, উঁচু ভবন, ভ্রমণের সময় বা আবহাওয়া খারাপ থাকলে কল ড্রপ হতে পারে।

তিনি জানান, এখন থেকে মোবাইল অপারেটররা সম্প্রতি কেনা স্পেকট্রাম ব্যবহার করবে। এর ফলে কল ড্রপের সমস্যা দূর হবে বলে তিনি মনে করছেন।

   

৪ বছরের স্মুদ পারফরম্যান্স নিয়ে এলো ১ নম্বর কোয়ালিটির রিয়েলমি সি৬৫



নিউজ ডেস্ক
৪ বছরের স্মুদ পারফরম্যান্স নিয়ে এলো ১ নম্বর কোয়ালিটির রিয়েলমি সি৬৫

৪ বছরের স্মুদ পারফরম্যান্স নিয়ে এলো ১ নম্বর কোয়ালিটির রিয়েলমি সি৬৫

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি স্মার্টফোনের বাজারে হাজির হয়েছে ১ নম্বর কোয়ালিটি সম্পন্ন রিয়েলমি সি৬৫ নিয়ে। এই ফোনটির রয়েছে স্বনামধন্য টিইউভি এসইউডি এর ৪৮-মাস মেয়াদী ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেশন এবং সেগমেন্টের প্রথম ৪৮-ওয়াট চার্জিং সিস্টেম।

একই দামের অন্যান্য ব্র্যান্ডের ফোনের মধ্যে রিয়েলমি সি৬৫ একটি নতুন মাইলফলক সৃষ্টিকারী একমাত্র ডিভাইস। কেননা এই স্মার্টফোনের রয়েছে টিইউভি-এসইউডি সার্টিফিকেশন থেকে পাওয়া সম্মানজনক জার্মান ফোর-ইয়ার স্মুদ সার্টিফিকেশন, যা ফোনটির পারফরম্যান্স কোয়ালিটির সত্যতা নিশ্চিত করে। এই ফোনে রয়েছে টিইউভি লো ব্লু লাইট সার্টিফিকেটের মতো নানা প্রযুক্তিগত সুরক্ষা, যা চোখের চাপ কমায়। এতে আরও রয়েছে আইপি৫৪ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স এবং উদ্ভাবনী কার্যক্ষমতাসম্পন্ন রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ ও ৩৬০ ডিগ্রি সারাউন্ড অ্যান্টেনা ডিজাইন, যা ফোনটির দীর্ঘস্থায়িত্বের পাশাপাশি ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

এই কৃতিত্ব ডিভাইসটির অসাধারণ কর্মক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতাকে তুলে ধরে, যাতে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে এর শক্তিশালী প্রসেসর ও রিয়েলমি’র এআই বুস্ট মোড। রিয়েলমি সি৬৫ বাজারে আনার সময় এর এআই বুস্ট ফিচারটি ডিভাইসপ্রেমীদের সামনে হাজির করতে পেরে রিয়েলমি গর্বিত। ফোন ব্যবহারকারীদের একটি নিরবচ্ছিন্ন ও সত্যিকারের সক্রিয় ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিতে এই ফিচারটি পারফরম্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বোচ্চ পাওয়ার এফিশিয়েন্সিও প্রদান করে।

রিয়েলমি সি৬৫ ডিভাইসে রয়েছে ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতার একটি ম্যারাথন ব্যাটারি, যার মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটেই চার্জহীন একটি ডিভাইসকে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত চার্জ দেওয়া সম্ভব। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে, ডিভাইস ব্যবহারকারীরা বাধাহীনভাবে ফোন ব্যবহারের পাশাপাশি পাবেন দ্রুত ফোন চার্জ করার সুবিধা, যা সবমিলিয়ে তাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

রিয়েলমি সি৬৫ এ রয়েছে ৭.৬৪ এমএম আল্ট্রা স্লিম বডি, যা এই ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে পাতলা ফোন। তারার আলোর (স্টারলাইট) ঝলকানিতে অনুপ্রাণিত হয়ে, এই ফোনে যুক্ত করা হয়েছে একটি উন্নত ৩০০এনএম ৭-লেয়ার কোটিং প্রক্রিয়া, যা একটি অনন্য দ্বি-স্তরযুক্ত তারার আলোর (স্টারলাইট) প্রভাব তৈরি করে। পাশাপাশি ডিজাইনটিকে আরও অসাধারণ করে তোলে এতে থাকা ভ্যাকুয়াম-প্লেটেড হাই-গ্লস প্রক্রিয়া, যা আপনার সামনে আপনার অনন্য পছন্দকে উপস্থাপন করে। স্মার্টফোনটি স্টারলাইট পার্পল ও স্টারলাইট ব্ল্যাক- এই দুটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও, রিয়েলমি সি৬৫ এর অনন্য পরফরম্যান্স প্রদর্শনের আরেকটি বিশেষ ক্ষেত্র হলো এর মেমরির সক্ষমতা। ডিভাইসটিতে রয়েছে ৮ জিবি + ৮ জিবি সমৃদ্ধ অসাধারণ র‌্যাম এবং ২৫৬ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ। এই স্টোরেজ স্পেসে ফোন ব্যবহারকারীরা কোনো চিন্তা ছাড়াই তাদের ফটো, ভিডিও ও অ্যাপ সংরক্ষণ করতে পারেন, যা ব্যবহারকারীদের একটি মসৃণ বা স্মুদ ও নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

এসব উন্নত ফিচারের মাধ্যমে, ব্যবহারকারীরা একটি ধারাবাহিকভাবে মসৃণ ও নিরবচ্ছিন্ন অপারেটিং অভিজ্ঞতা প্রত্যাশা করতে পারে, যা স্মার্টফোনের সামগ্রিক কর্মক্ষমতাকে অভূতপূর্ব লেভেলে নিয়ে যায়।

রিয়েলমি সি৬৫ এর ৮জিবি+১২৮জিবি ভ্যারিয়েন্ট আকর্ষণীয় ১৯,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ও ৮জিবি+২৫৬জিবি ভ্যারিয়েন্ট কেনা যাবে ২৩,৯৯৯ টাকায়। এছাড়াও, আজ ৮ মে দুপুর ২টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পিকাবু-তে মাত্র ১৮,৮৯৯ টাকার ফ্ল্যাশ সেলে পাচ্ছেন রিয়েলমি সি৬৫ স্মার্টফোনটি। একইসঙ্গে এতে পাচ্ছেন একটি স্ট্যান্ডার্ড অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি।

ফ্ল্যাশ সেলের পরে, আজ অর্থ্যাৎ ৮ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত ডিভাইসটি প্রি-বুকিং দিলে রয়েছে বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে ১ লাখ টাকার একটি মেগা অফার এবং বিনামূল্যে একটি রিয়েলমি সি৬৫ জেতার সুযোগ, সঙ্গে রয়েছে একটি ছয় মাসের স্ক্রিন প্রটেকশন ওয়ারেন্টি (এটি শুধু ১৩ মে-তে পাওয়া যাবে)।

রিয়েলমি গ্রাহকদের জন্য আরও রয়েছে জিপি (২৬ জিবি ৪জি) এবং বাংলালিংক (১৫জিবি ৪জি) থেকে ফ্রি ইন্টারনেট ডাটা পাওয়ার সুযোগ। এছাড়া, আকর্ষণীয় প্রি-বুক অফারের পাশাপাশি রিয়েলমি’র গ্রাহকদের কাছে থাকা এর রিসিপ্টের ওপর অনলাইন লটারির আয়োজন করা হবে। এই অনলাইন লটারি পোর্টাল সিস্টেমের মাধ্যমে রিয়েলমিপ্রেমীদের দেওয়া হবে নানা ধরনের পুরস্কার।

প্রি-বুকিং নিশ্চিত করতে, ফোন ব্যবহারকারীরা https://realmebd.com/c65prebook/ এই সাইটটিতে ভিজিট করতে পারেন।

আরও তথ্যের জন্য, রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/realmeBD/ – এ ঘুরে আসতে পারেন।

;

৫জির ভবিষ্যৎ নিয়ে যা জানা গেল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দেশে ৫জি অনিশ্চিত 

দেশে ৫জি অনিশ্চিত 

  • Font increase
  • Font Decrease

তরঙ্গ নিলামের প্রায় দুই বছর পর ৫জি গাইডলাইন চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তৈরি গাইডলাইন অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের আগামী এক বছরের মধ্যে ৫জি চালু করতে হবে।

তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাই এখন বলছে, কবে ৫জি চালু হবে তারা এখন বলতে পারছে না।

বুধবার বিটিআরসির কার্যালয়ে আয়োজিত টেলিযোগাযোগ বিষয়ে গণশুনানিতে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনিরুজ্জামান বলেন, ৭০০ ব্যান্ডেও যাতে ৫জি ব্যবহার করা যায় সেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দেশে ৫জি যতটা না প্রয়োজন তার চেয়ে ৪জি উন্নত বেশি করা দরকার। দ্রুততম সময়ে যাতে ৪জি’র মান উন্নত এবং কাঙ্ক্ষিত নেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে বিটিআরসি। 

৫জি সেবা কবে চালু কবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট ডেডলাইনের কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ৫জি চালু করেছে। যখন দেখবো এটি আমাদের দেশে প্রয়োজন তখন চালু করা হবে।

২০২২ সালের মার্চে ৫জি তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০হাজার কোটি টাকায় মোট ১৯০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনে নেয় চারটি মোবাইল অপারেটর। ৫জি তরঙ্গ নিলামের সময় বলা হয়েছিল, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৫জি সেবা চালু করতে হবে। এরপর গত ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে ৫জি সেবা চালুর বিষয়ে তোড়জোড় চালিয়েছিলেন তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তবে দ্রুততম সময়ে ৫জি সেবা চালু নিয়ে অপারেটরো আপত্তি জানিয়েছিল। বর্তমানে দেশে ৩জি ও ৪জি সেবা চালু রয়েছে। ২০১৩ সালে ৩জি এবং ২০১৮ সালে ৪জি চালু হয়।

সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫জি চালু করতে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ লাগবে। তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্র চূড়ান্ত না হওয়ায় বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে চাইছে না অপারেটরেরা। 

তবে অনেক দেশে ৫জি এখনো বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। বিশ্বব্যাপী মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন জিএসএমএ এর প্রতিবেদন বলছে, আগামী ২০২৫ সালে ২০০ কোটি মানুষ ৫জি সেবা নেবে।

;

চলছে জরিপ, ফিরছে ৩ দিনের মোবাইল প্যাকেজ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন দিনের প্যাকেজ বন্ধ হয়ে যায় গত বছরের অক্টোবরে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ ছিল।

এরপর এই প্যাকেজ বন্ধ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। অক্টোবরে ১৫ দিনের প্যাকেজও বন্ধ করা হয়েছিল। তবে জনপ্রিয় এই প্যাকেজ পুনরায় চালু হতে পারে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিটিআরসি এরই মধ্যে একটি জরিপ করেছে।

এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি’র মহাপরিচালক (সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিল-উর রহমান বলেন, মোবাইলের নতুন প্যাকেজ বাস্তবায়নের পরেও ফিডব্যাক পেয়েছি। এ সংক্রান্ত জরিপে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের রেসপন্স পেয়েছি। গ্রাহকের ফিডব্যাকের ভিত্তিতে গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেটের প্যাকেজ প্রবর্তন করা হবে।

বুধবার (৮ মে) বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিযোগাযোগ বিষয়ে গণশুনানিতে তিনি একথা বলেন। শুনানিতে ফরিদ রেজা মোবাইল ইন্টারনেটের প্যাকেজের মেয়াদ তুলে দেওয়ার দাবি জানান। সেই সাথে তিনি এমএনপিতে যেতে টাকা কমানোর কথা বলেন।

জবাবে বিটিআরসি থেকে বলা হয়, ভর্তুকি দিয়ে অন্য অপারেটরকে স্বাগত জানাতে আহবান জানান তিনি। ৩ দিনের প্যাকেজ ৩জিবি। আবার একই প্যাকেজ এক মাসের নিলে অপারেটরের খরচ বেড়ে যায়। তাই চাইলেই একটি অপারেটর মেয়াদহীন প্যাকেজ দিতে পারছে না।

;

থ্রি-জি সেবা বন্ধ করলো বাংলালিংক, বন্ধ করছে অন্যরাও



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক তাদের থ্রি-জি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক গত ৫ মে দেশব্যাপী থ্রি-জি সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে।

২০১৩ সালে দেশে সবগুলো অপারেটর থ্রি-জি সেবা চালু করেছিল।

এদিকে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডও থ্রি-জি সেবা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং নাটোর থেকে তারা এই কার্যক্রম শুরু করে।

থ্রি-জি ডিভাইসের সংখ্যা হ্রাস এবং ফোরজি ডিভাইসের সংখ্যা বাড়ার কারণে বর্তমানে টুজি ও থ্রিজি নেটওয়ার্কে চাপ কমছে।

বাংলালিংক বলছে, থ্রি-জি বন্ধের ফলে অপারেটরটি ফোর-জি নেটওয়ার্কের আরও বেশি তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স বরাদ্দ করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হল গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ ও উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করা। ফোর-জি-এর জন্য বরাদ্দকৃত তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স আরও বাড়িয়ে, আমরা গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবো। এই সফল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক হিসেবে, আমরা আমাদের গ্রাহকদের ফোর-জি অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে উচ্চগতি সম্পন্ন ও আধুনিক অবকাঠামো এবং সর্বোপরি অত্যাধুনিক ডিজিটাল সেবাগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'-এর দিকে বাংলালিংক-এর একনিষ্ঠ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট আছি।

;