বিদেশী কর্মীর অর্থ নিয়ে যাওয়া বন্ধে শিক্ষাই বড় হাতিয়ার



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের প্রবাসী কর্মী প্রতিবছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠায়। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশে যে সব বিদেশি কাজ করেন তারাও এদেশ থেকে বিশাল পরিমাণের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যান।

তবে তফাত হল বিদেশিদের বেতন বাংলাদেশিদের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। বিশ্বের কোনো দেশে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশিরা সে দেশের স্থানীয়দের চেয়ে দু’তিন গুণ বেশি বেতন পাওয়াতো দূরের কথা ন্যায্য পাওনাটাই পায় না।

এ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সম্প্রতি প্রাক বাজেট আলোচনায় এক বক্তব্যে জানান, বিদেশি কর্মীরা এ দেশ থেকে বেশ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিবছর নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের ভিতরে থেকে তৈরী পোষাক শিল্পে বিভিন্ন চাকুরি করেই এ অর্থ নিয়ে যায়। কারণ বিশ্ব বাজারে আমাদের পণ্য বিক্রিতে দরকষাকষি করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ লোকবল নেই। তারা এখাতেই খুব কম লোক খাটিয়ে বেশী মুদ্রা নিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।

তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আসন্ন বাজেটে এ বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। এর সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় রফতানীকারক কোম্পানিগুলোকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ৮৫ হাজার। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি, অতএব তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণও বেশি। বাংলাদেশে কাজ করা শুধু ভারতীয়রাই বছরে ৩২ হাজার কোটি টাকা দেশে নিয়ে যান বা দেশে পাঠান।

তবে উদ্বেগের বিষয়, বহু বিদেশিই আছেন যারা নিয়মানুযায়ী ওয়ার্ক পারমিট ছড়াই এখানে কাজ করেন। এ হিসেব সরকারের কাছে থাকাও কষ্টকর। কারণ এ নিয়ে মনিটরিং করার মত লোকবল বা প্রচেষ্টা দেশে নেই বললেই চলে।

২০১৭ সালের অক্টোবরে উপস্থাপিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিদেশি কর্মীরা ৫শ’ কোটি ডলার বা ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। ঐ প্রতিবেদনে কারণ উল্লেখ করে বলা হয় যে দেশের শ্রম শক্তিতে দক্ষতার অভাব রয়েছে, আর সেই দক্ষতার অভাব পূরণ করা হচ্ছে বিদেশিদের দিয়ে।

সব থেকে বেশি বিদেশী কর্মী কাজ করেন পোশাক খাতে। পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান যেমন গার্মেন্ট, কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল, ওভেন ও নিটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি, সোয়েটার ফ্যাক্টরি, বায়িং হাউস, মার্চেন্ডাইজিং কোম্পানি মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ বিদেশী কাজ করেন এ দেশে। বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ফ্যাশন হাউস, খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন কোম্পানি, পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান, চামড়াজাত প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি, মিডিয়া রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞাপনী সংস্থাসহ বিদেশীরা কাজ করছেন সাধারণ ফার্নিচারের দোকানেও।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে সব মিলিয়ে প্রায় ৫৫টি দেশের নাগরিক বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন। তাদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। বিভিন্ন ধরনের চাকরিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ভারতে পঞ্চম রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত। গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদে দেয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশে মাত্র ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বিদেশি চাকরি করেন। তার মধ্যে অর্ধেক ভারতীয়। বাংলাদেশে বৈধভাবে কাজ করতে হলে বিনিয়োগ বোর্ড থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু বিনিয়োগ বোর্ড থেকে যেসব কর্মী ওয়ার্ক পারমিট নিয়েছেন, তার বাইরে বহুগুণ বিদেশি এ দেশে কাজ করে। আর তাদের অর্জিত অর্থ অবৈধ পথে হুন্ডির মাধ্যমেই পাচার করা হয়ে থাকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, সাধারণ ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে আসেন ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের নাগরিকরা এ দেশে আসেন। এ দেশের নাগরিকরা সহজেই বাংলাদেশে ভিসা পেয়ে যান। এর অন্যতম কারণ তাদের দেশের প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশি যান। তবে তফাত হল বাংলাদেশিরা যান নিখাদ ভ্রমণে আর তারা আসেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করার জন্য।

এরপর তারা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ করে ভিসার মেয়াদ শেষের আগেই চলে যান। নতুন করে আবার ভ্রমণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান এসব বিদেশী কর্মীর বেতন পরিশোধ করেন কিন্তু তাদের ইনকাম টেক্সও কেউ দেয় না।

বিদেশী কর্মীরা ডলার করে টাকা নিয়ে যান নিজের দেশে।’ দেশে প্রায় সাড়ে বর্তমানে ৪ কোটি মানুষ বেকার, সে দেশে এসে বিদেশীরা কিভাবে বছরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যায়। এত বেকার থাকতে দেশে কর্মমুখী শিক্ষা ও দক্ষতার অভাব। বহু কাজ আছে যা বিদেশিরা ছাড়া করতে পারছে না বাংলাদেশ।

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী পড়ানো হয় না। এ নিয়ে বিশেষ চিন্তা বা পরিকল্পনাও দেখা যায় না। নেই নীতিমালা। সার্টিফিকেট দিতে ও পেতেই এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল কর্মকাণ্ড হয়ে দাড়িয়েছে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুন ২০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু কাজ পায় মাত্র ৫ লাখ। বাকি ১৫ লাখ থাকে বেকার। এদের নিয়ে যথার্থ পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে দেশ দুপা এগিয়ে তিন পা পিছিয়ে যাবে।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;