কাজের দক্ষতা বাড়াতে চাই সঠিক পরিকল্পনা



গোলাম আসাদ পিয়াস, অতিথি লেখক, ক্যারিয়ার, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমেই নিজের কর্মব্যস্ততা থেকে এক মুহূর্ত সময় চেয়ে নিন। এবার ভাবুন তো, আপনার দিনটি কিভাবে শুরু হয় এবং কিভাবে শেষ হয়?

আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কিভাবে আপনার প্রত্যেকটি দিন কাটান? দিনের কতটুকু সময় নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ব্যয় করেন আর কতটুকু সময় শুধুই নিজের আরাম-আয়েশে ব্যয় করেন?

উত্তর ভাবতে ভাবতে কয়েকটি তথ্য জেনে নেয়া যাক। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ঢাকার অধিবাসীরা যানজট সমস্যার কারনে প্রত্যেক কর্মদিবসে কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা করে সময় হারাচ্ছেন। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার কিছু অফিসে “অফিস প্রোডাক্টিভিটি” বিষয়ক একটি জরিপ চালানো হয়।

জরিপে অংশ নেয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, তারা নিজেদের একটি কর্মদিবসে পুরোপুরি কর্ম উৎপাদনশীল হিসেবে বিবেচনা করেন কি না?

উত্তরে শতকরা ৭৫ জন স্বীকার করেন তারা নিজেদেরকে তা মনে করেন না। ২০ শতাংশ বিশ্বাস করেন তারা সবসময় নিজেদের সবটুকু দিতে পারেন। আর বাকি ৫ শতাংশ কর্মকর্তা কর্মচারী আদৌ জানেন না তারা ঠিক পারেন কি না! এরপরে আর কাজের উপর কিছু জিজ্ঞেস করা হলো না।

তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলো, যেদিন আপনি কাজ করেন না, তখন কি করে সময় কাটান বা কিভাবে সময় কাটে?

জরিপে অংশগ্রহণকারীরা একাধিক উত্তর দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাতে যে ফল পাওয়া গেছে তা হলো, শতকরা ৩২ ভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটান। সহকর্মীদের সাথে আড্ডায় সময় কাটান ১৬ ভাগ, ১৫ ভাগ ধূমপান/চা পান করে, ফোনকলে ১১ ভাগ, দুপুরের খাবার এবং নাস্তায় ১০ ভাগ, দেশ বিদেশের সংবাদ জানতে ৭ ভাগ এবং নতুন চাকরি খোঁজায় ৯ ভাগ সময় কাটান।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে আপনার যানজটে পড়ে সময় নষ্ট হচ্ছে, তারপর আপনি দিনের একটা বড় সময় ব্যয় করছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও অন্যান্য কাজে। আপনি বর্তমানে যে কাজ করেন, আরো কম সময়ে সে কাজগুলো শেষ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই বিকল্প রাস্তা খুঁজতে হবে। কারণ আপনার কাজের বর্তমান প্রক্রিয়াগুলো যতটা উপকারী হওয়ার কথা তা নাও হতে পারে।

কি করতে হবে এবং আপনার কোন দক্ষতাগুলো বাড়াতে হবে তা খুঁজে পেতে আপনার বর্তমান কাজের ফর্মূলাগুলোকে আরেকবার মূল্যায়ন করতে হবে। একবার যখন সঠিক পদ্ধতি পেয়ে যাবেন, তখন আপনি টু-ডু লিস্টের সংখ্যা না বাড়িয়ে কিভাবে আরো বেশি কাজ করা যাবে, সেই কৌশলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়ার সময় আমাদের একজন শিক্ষক বলেছিলেন, “Focus on being Productive, not Busy.”

আপনার কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রথম পদক্ষেপ হলো, একটি ব্যক্তিগত রুটিন তৈরি করা। দয়া করে বিখ্যাত ব্যক্তিদের এমন রুটিন অনুসরণ করবেন না যা আপনার সাথে যাবে না। নিজের জন্য নিজের মতো করে একটি রুটিন তৈরি করুন।

আপনার নিশ্চয়ই খুব ভালো ধারনা আছে যে দিনের কোন সময়টায় আপনি সবচেয়ে বেশি প্রোডাক্টিভ, মনযোগী বা শারীরিকভাবে সবল। অধিকাংশ মানুষই দিনের শুরুর ভাগে সবচেয়ে বেশি প্রোডাক্টিভ। তারা দুপুরের খাবারের আগের অংশেই অনেক বেশি ও ভালোভাবে কাজ করতে পারেন। এখানে রহস্যটি হলো, আপনার শরীর ও মনের মর্জি মতো কাজ করা, এর বিপরীতে গিয়ে নয়। কিছু আইটি কোম্পানি ও ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি তাদের কর্মীদের জন্য আরামদায়ক কাজের সময় নিয়ে এসেছে। যা আসলেই সেই কোম্পানিগুলোর জন্য ভাল ফল নিয়ে আসছে।

সপ্তাহের শুরু হোক উদ্যমের সাথে

কখনো ভেবেছেন সপ্তাহের শেষ দিনের থেকে কেন আপনি সপ্তাহের শুরুতে বেশি কাজ করতে পারেন? কারণ সাপ্তাহিক ছুটির পর আপনার মন মেজাজ ভালো থাকে এবং এক নতুন আপনাকে পাওয়া যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার এনার্জি লেভেল অনেক ভালো থাকে।
প্রোডাক্টিভিটির এক অন্যতম রহস্য হলো, আপনি কাজ কীভাবে শুরু করবেন? সপ্তাহের মধ্যে আপনি ছুটি নিতেই পারেন, আর বুধবারের পর আপনার শরীরে ক্লান্তি আসতেই পারে। কিন্তু আপনি যদি সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারেন, তাহলে প্রতিদিনের কাজগুলোকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই রাতে ঘুম খুব কমে যাচ্ছে। এটি আপনাকে অফিসে আরও একটি বিষণ্ণ সকাল শুরু করাবে। আপনার প্রোডাক্টিভিটি অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে, যদি সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে যদি খুব ভালো করে বিশ্রাম নিতে পারেন। এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বা ইমেইল থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন। নিজের ফোন বা ল্যাপটপ ছাড়া ছুটির দিন কাটানো হয়তো অসম্ভব হতে পারে। কিন্তু সুখবর হলো, যদি আপনি এটাকে সম্ভব করতে পারেন, তাহলে সপ্তাহের শুরুতে আপনি কাজ করার জন্য অনেক বেশি এনার্জি পাবেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/17/1558070347212.jpg

টু-ডু লিস্ট তৈরি করুন

টু-ডু লিস্ট একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। আপনার কাজের বিশাল তালিকা থেকে আজকের কাজগুলো আলাদা করুন। প্রতিদিন শুধু আজকের কাজগুলোতে মনোযোগ দিন। প্রতিদিন সকালে টু-ডু মাস্টার শিট দেখা আপনাকে কখনো কখনো বিভ্রান্তও করে দিতে পারে। তাই অফিস শেষে চলে যাবার আগে আগামীকালের প্রধান কাজগুলোর একটা তালিকা করে ফেলুন। হাতে ১৫-২০ মিনিট সময় রেখে লিখে ফেলুন কাল কোন পাঁচটি লক্ষ্য অর্জন করতে চান। কাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করাটা অনেক দেরি হয়ে যাবে কারণ ততক্ষণে দিনটা আপনার ঘাড়ে চেপে বসবে।

কর্মশক্তি ব্যবস্থাপনা

আপনার যদি খুব সকাল সকাল উঠার অভ্যাস থাকে, তাহলে দিনের মধ্যম ভাগেই আপনার কর্মশক্তি কমতে শুরু করবে এবং আপনি যা চাইছেন তা শেষ নাও করতে পারেন। তাই, আপ্রাণ চেষ্টা করুন সকালবেলা আপনার আজকের দিনের সব জরুরী কাজগুলো সেরে ফেলতে।

এনার্জি ম্যানেজমেন্ট আপনাকে কাজের ফলাফলগুলো চিন্তা করতে সহযোগিতা করে, আপনি কতটুকু সময় ব্যয় করেছেন সেই ব্যাপারে না। গভীর মনোযোগের সাথে কাজ করলে খুব অল্প সময়েই অনেক কাজ করা সম্ভব হয়। মনোযোগ ছাড়া কাজ সারাদিন ধরে করলেও শেষ করা সম্ভব নাও হতে পারে। আপনি তখনই প্রকৃত ও সৃজনশীল কাজ পারবেন, যদি আপনি আপনার শক্তি ও সময়কে নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করতে পারেন।

কাজের প্রস্তুতি নিন

আপনি যদি বুঝতে না পারেন সকালে সর্বপ্রথম কোন কাজটি করা উচিত, তাহলে কাজে বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। আপনার রুটিনটি কাজের একটি সহজ প্রক্রিয়া হতে পারে। যেমন, অফিসে যান, এক কাপ চা বা কফি পান করুন, আপনার ডেস্কটি গুছিয়ে নিন, আপনার আজকের টু-ডু লিস্ট দেখুন এবং ধারাবাহিকভাবে শুরু করুন।

প্রতিটি কাজের ডেডলাইন নির্দিষ্ট করুন

কর্মক্ষেত্রে বেশি সময় কাটানো মানে এই নয় যে, আপনি বেশি কাজ করতে পারবেন। ভেবে দেখুন, একটি কাজ শেষ করার জন্য আপনার কাছে পুরোটা সকাল বা বিকেল সময় রয়েছে। তখন আপনি হয়তো এই কাজের ফাঁকে চা, কফি বা ধূমপানের জন্য কিছু সময় নিবেন, ইমেল বা সোশ্যাল মিডিয়া চেক করবেন এবং লম্বা সময় নিয়ে কাজটি শেষ করবেন। কিন্তু আপনি যদি একটি কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় সেট করে নেন, তাহলে আপনি এতে পুরোপুরি ডুবে থাকবেন, কাজ করার শক্তি পাবেন এবং কম সময়ে কাজটি শেষ করতে পারবেন। যখন আপনার অনেক কাজ করতে হবে তখন প্রতিটি কাজের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিন। ‘ডেডলাইন’ আপনাকে কাজে ফোকাস করতে বাধ্য করবে।

লেখক : লাইফ হ্যাকিং ব্লগার ও কনটেন্ট মার্কেটিং স্পেশালিস্ট। 
   

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (এনটিআরসিএ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৬৮১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর সর্বমোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। 

পরীক্ষার ফলাফল http://ntrca.teletalk.com.bd/result/ লিংকের মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়াও উত্তীর্ণদের মোবাইলে এসএমএস'র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

একই দিন বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ।

জানা যায়, ২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে প্রায় ১৯ লাখ চাকুরীপ্রার্থী আবেদন করেন।

;

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫৪৫৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৫৬ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের ২২ জেলায় (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এসব প্রার্থী পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশিত ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.govt.bd এ পাওয়া যাবে। 

উল্লেখ্য, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

;

দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে চাই সবসময় : আবির হাসান



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র কৃষক-গৃহিণী দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেন আবির হাসান। কে জানতো এই আবির হাসানই একদিন সেনাবাহিনীর অফিসার হয়ে এলাকার নাম উজ্জ্বল করবেন। এমনটাই করে দেখিয়েছেন পাবনার চাটমোহর এলাকার সন্তান আবির হাসান।

চাটমোহর এলাকার আবির হাসান ছিলেন ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত। ইচ্ছে ছিল একদিন অনেক বড় হবেন, কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্রতা। তবে দারিদ্রতা যে সফলতার রাস্তার বাঁধা হতে পারে না, সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন আবির।

বাবার সঙ্গে লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চাষ করেছেন আবার ঠিকই লেখাপড়াও করেছেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছেলে সে। তার মনের বাসনায় ছিল পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। পরিবারের সবার ছোট ছেলেটাই এখন আর্মি অফিসার।

যদিও প্রথমে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না তার, তবুও পরিবারের চাওয়ায় যুক্ত হোন সেনাবাহিনীতে। তার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা সৃজন দিয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আবির হাসান।

গ্রাম থেকে নবম শ্রেণি পাশ করে মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হোন, সেখান ভালো ফলাফল করে। গ্রাজুয়েশনের জন্য ভর্তি হোন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিউপি)। সেখান থেকে স্নাতক পাশ করেন। আমেরিকান কমান্ডো ট্রেনিংও করেছেন আবির।

দরিদ্র পরিবার থেকে বেড়ে উঠার কারণে দারিদ্রতা কাছ থেকেছেন আবির। তাই দরিদ্র মানুষের পাশে থাকেন সবসময় আবির। মানুষের দুঃখ কষ্টের সঙ্গী হতে চেষ্টা করেন। যেমন তিনি নিয়েছেন নিজ পরিবারের দায়িত্ব, তেমনি গরীব পরিবারের দায়িত্বও নিজ হাতে নিয়েছেন তিনি।

আবির হাসান বলেন, দারিদ্রতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আমি সফল। আমি দরিদ্র মানুষেরদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

আবির হাসান সবসময় নিজেকে একজন আর্দশবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার প্রত্যাশা আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

;

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৩৬.৩৩ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়।

বিকেলে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এবছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ তথা ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।

এছাড়া ৭৫ নম্বরের উপরে ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে ৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে ৩১০৮৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ফলাফল প্রকাশের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;