বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেলে আলোচনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেলে আলোচনা

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেলে আলোচনা

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মদিনে কিশোরগঞ্জস্থ প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে দিনব্যাপী  ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দোয়া ও আলোচনা ছাড়াও মেডিকেলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কেক কেটে বাংলাদেশের মহান স্থপতির জন্মদিন উদযাপন করেন। 

কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আনম নৌশাদ খানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. সুফিয়া খাতুন। সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরা হয়।

এছাড়া কিশোরগঞ্জস্থ ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনকের জন্মদিন পালন করেছে।

   

চুয়াডাঙ্গায় টানা তাপদাহের পর বৃষ্টি, জনজীবনে স্বস্তি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় টানা ৩৭ দিন তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি। প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে প্রাণ।

সোমবার (০৬ মে) বেলা ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে দমকা হাওয়ার সাথে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ১ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট স্থায়ী এসময় মোট ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মার্চ মাসের ২৯ তারিখ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে ছিল মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপদাহের সাথে গরমের দাপট। এর মধ্যে গত ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি ও পরদিন ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা স্বাধীনতার পর থেকে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওই সময় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছিল, মে মাসের ৫-৬ তারিখ নাগাদ এ জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।


সোমবার বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ। সন্ধ্যা ছয়টায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ।

চুয়ায়াডা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, দুপুরের পর থেকেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানের আকাশে কালো মেঘে ঢেকে যায়। বেলা ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে দমকা হাওয়ার সাথে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল বৃষ্টি। এসময় মোট ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সাথে ডায়ামিটারে ০১ সেন্টিমিটার শিলা রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই বৃষ্টির মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ শেষ হয়েছে। আগামী ১২-১৩ মে পর্যন্ত এ জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, টানা তাপদাহের পর চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টিতে খুশি এ অঞ্চলের মানুষ। বৃষ্টি শুরুর পর শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে বৃষ্টির পানিতে ভিজতে দেখা গেছে। অনেকে উল্লাস উদযাপন করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশা চালক আজিজুর রহমান জানান, ‘অনেকদিন ধরি গরমে প্রায় মরে যাওয়ার অবস্থায় পড়েলাম, এখন পানি (বৃষ্টি) হওয়ায় খুব ভালো লাগছি। ভাড়া না হলেও খুব একটা আক্ষেপ নেই আর।’

চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ার কিশোর রাসেল আলী বলেন, ‘টানা রোদ-গরমের পর এমন বৃষ্টি হচ্ছে। তাই বৃষ্টির পানিতে ভেজার লোভ আর সামলাতে পারলাম না। আমার দেখাদেখি পাড়ার অনেক শিশু-কিশোর বৃষ্টিতে ভিজছে।’

;

বরগুনায় হঠাৎ বৃষ্টি, জনমনে স্বস্তি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র দাবদায়ের পর বরগুনায় হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছে। এতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়াও।

বিকাল ৪টা থেকে আকাশে গুমোট ভাব দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায়। আধঘণ্টা পরই বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

পথচারী সিফাত রিমা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাজারে এসেছি বাচ্চা নিয়ে তীব্র গরমে দোকানে বসে থাকাই ছিল দুঃসাধ্য। আজ হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা শীতল অনুভূত হচ্ছে।

ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সঙ্গে টানা কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে সবখানে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছিল। বিকেলে আচমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে খানিকটা সময় বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।

;

প্রয়োজনের তুলনায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টন বেশি মাছ উৎপাদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অন্তত ১ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ বেশি উৎপাদন হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৪৭ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে মোট মৎস্য উৎপাদিত হয়েছে ৪৯ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় এক লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন বেশি মাছ উৎপাদন হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও গতিশীল নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এছাড়া, বিবিএসের তথ্য দিয়ে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের মানুষ দৈনিক গড়ে জনপ্রতি ৬৭.৮০ গ্রাম (জনপ্রতি বাৎসরিক ২৩.৭২ কেজি চাহিদার বিপরীতে ২৫.০০ কেজি) মাছ গ্রহণ করছে।

উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোনা অবমুক্তির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় ২১৫.৪৩ মেট্রিক টন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০০.২৫ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় বিল নার্সারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সারা দেশে ৯১৭টি এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৭৪টি বিল নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি রোধ ও প্রাচুর্য রক্ষার্থে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৫০০টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে সালে রাজস্ব খাতের আওতায় ৩৮৯টি মৎস্য অভয়াশ্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭২টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে মৎস্য অধিদফতরের আওতাধীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ হাজার ৭ শত ৫৮ হেক্টর অবক্ষয়িত জলাশয় পুনঃখনন করে সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। খননকৃত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

;

সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট নগরী ও আশপাশের এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিলা পড়তে দেখা যায়। যার স্থায়ীত্ব ছিলো ২-৩ মিনিট।

জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে সিলেটে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। তবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ফলে নগরীর প্রায় সড়ক ফাঁকা দেখা যায়।

এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২.২ মিলিমিটার। সেখানে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৫২ মিলিমিটার।

দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নিবাস দেবনাথ।

তিনি জানান, সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তন্মধ্যে সকাল ৬টা থেকে নয়টায় ২৮ মিলিমিটার ও নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ১০ মিলিমিটার পর্যন্ত হালকা বৃষ্টিপাত, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টিপাত, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার পর্যন্ত মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার ভারী এবং এর বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতিভারী বৃষ্টিপাত বলা হয়।

এরআগে, গত ৪ এপ্রিল ও ৩১ মার্চ সিলেটে কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ওই সময়ে শিলাখণ্ডের আঘাতে নগরীর অনেক বাসাবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। যানবাহনেরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়।

;