৪র্থ বারের মতো চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মাহবুবুল আলম / ছবি: সংগৃহীত

মাহবুবুল আলম / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সর্বসম্মতিক্রমে মাহবুবুল আলম সভাপতি, ওমর হাজ্জাজ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও তরফদার মো. রুহুল আমিন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) নির্বাচন কমিশনের চেয়্যারম্যান শাহজাদা ফৌজুল মবিন খানের সভাপতিত্বে ও একেএম আক্তার হোসেনের পরিচালনায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, পরিচালক নির্বাচনের লক্ষ্যে গত ২১ মার্চ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা গত ৫ মে দুপুর ১টায় শেষ হয়।

ওই সময়ের মধ্যে অর্ডিনারির ক্যাটাগরিতে ১২টি পদের বিপরীতে ১৪জন প্রার্থী, অ্যাসোসিয়েট গ্রুপে ছয়টির বিপরীতে ছয়জন, টাউন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে তিনটি পদের বিপরীতে তিনজন এবং ট্রেড গ্রুপে তিনটি পদের বিপরীতে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, যা যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বৈধ বলে গৃহীত হয়।
পরবর্তীতে রোববার (১৯ মে) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে শেষ দিনে অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে দুইজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় নির্বাচন বোর্ড অবশিষ্ট প্রার্থীবৃন্দকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

নব-নির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুল আলম সিআইপি চতুর্থ বারের মতো দ্যা চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

এম আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম ১৯৫৮ সালে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খ্যাতনামা ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক প্রয়াত নুরুল আলমের জ্যেষ্ঠ সন্তান।

মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন এবং অধ্যয়নকালে চাকসুর সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মাহবুবুল আলম ২০০২-২০০৪ মেয়াদে প্রথমবার, ২০০৫-২০০৬ মেয়াদে দ্বিতীয় বারের মতো চিটাগাং চেম্বার পরিচালক, ২০০৭-২০০৮ মেয়াদে সহ-সভাপতি, ২০১১-২০১২ মেয়াদে সিনিয়র সহ-সভাপতি, ২০১৩-২০১৪, ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৭-২০১৯ মেয়াদে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বর্তমানে সার্ক চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী দফতর সংশ্লিষ্ট বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলাপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই’র প্রাক্তন সহ-সভাপতি ও পরিচালক, চেম্বার কর্তৃক মনোনীত সিডিএ’র সদস্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইকনোমিক জোন অথরিটির গভর্ণিং বোর্ডের সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ’র পরিচালক, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট’র এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক। মাহবুবুল আলম ক্রাউন স্টীল লিঃ, এম. আলম গ্যাস স্টেশন লিঃ এবং আনোয়ারা আলম ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড’র ভাইস চেয়ারম্যান, সার্জিস্কোপ হসপিটাল লিঃ’র ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর চেয়ারম্যান, এ্যাকুয়া ফুডস লিঃ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সমাজসেবী ও বিদোৎসাহী মাহবুবুল আলম দালাইনগর হাই স্কুল পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান, এনায়েত বাজার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও গহিরা আলিয়া মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির ভাইস চেয়ারম্যানসহ অসংখ্য শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন।

   

নকল পণ্য তৈরিকারীদের ব্যাপারে তথ্য দিতে অনুরোধ ডিবি প্রধানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যারা নকল স্যালাইন, শিশু খাদ্য ও বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছে তাদের ব্যাপারে কোন ধরনের তথ্য থাকলে তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, ভেজাল পণ্য তৈরি করে তা বিক্রি করা অপরাধ। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (ভোক্তা অধিকার, বিএসটিআই) তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করবো। যারা শিশুর নকল খাবার তৈরি করবে, নকল স্যালাইনতৈরি করবে তাদের লাইসেন্স আছে কিনা, এটা জানার অধিকার একজন নাগরিকের আছে। তারাও তাদের জিজ্ঞেস করতে পারে।

হারুন বলেন, এলাকার লোকজন তাদের না ধরুক অন্তত তথ্য দিলে আমাদের জন্য সহায়ক হবে। তাহলে আমরা তাদের গ্রেফতার করতে পারব। এজন্য আমি সকলকে অনুরোধ করব যারা নকল ড্রিঙ্কস, জুস বানাচ্ছে, লবণ চিনি মিশিয়ে নকল স্যালাইন তৈরির তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্প্রতি মতিঝিলসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল স্যালাইন তৈরিকারী কয়েকটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।

;

ধানের দাম মণ প্রতি ১৫০০ টাকা করার দাবি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষকদের উৎপাদিত ধানের প্রতি মণের মূল্য ১৫০০ টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা শাখা।

বুধবার (৮ মে) গৌরীপুর-রামপুর আঞ্চলিক সড়কের বীরআহাম্মদপুর এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতা-কর্মী ছাড়াও স্থানীয় কৃষকরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই বেরো মৌসুমে পাইকাররা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মণ মোটা ধান ৭০০ টাকা দরে ক্রয় করছেন। এই ধান বেঁচে এক কেজি গরুর মাংস কেনা যায় না। এছাড়াও ধানের আড়তদার ও মহাজনরা ঢলতা প্রথার নামে প্রতি মণে ২/৩ কেজি করে ধান বেশি নেয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা প্রতি মণ ধানের মূল্য ১৫০০ টাকা, ঢলতা বাতিল ও সরকারি ভাবে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানাই।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কৃষক সমিতি গৌরীপুর শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান ফকির, সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন হেলিম, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসনাত, কৃষক মো. স্বপন মিয়া, ফখর উদ্দিন মাস্টার, উসমান গনি, শরীফুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, লূত মিয়া, উজ্জল মিয়া প্রমুখ।

;

অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই: বিটিআরসি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যেসব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ।

বুধবার (৮ মে) দেশের টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ রিয়াজ বলেন, দেশে ব্যবহৃত অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বর্তমানে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত উভয় মোবাইল ফোন সচল রয়েছে। তবে যেসব অবৈধ ফোন প্রচলিত রয়েছে, সেগুলো বন্ধের প্রয়োজন হলে গ্রাহকদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হবে। তাই অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটি ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

তবে ফোন কেনার সময় যাচাই করে নিবন্ধিত ফোন কেনা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার এবং বিটিআরসির পক্ষ থেকে আমি গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, সবাই যেন নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন কেনেন। আমরা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের বিষয়ে আপনাদের নিরুৎসাহিত করছি।

‘সব মোবাইল সেটই নেটওয়ার্কে কাজ করবে। কোনোটাই বন্ধ করা হবে না।’কারও কাছে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন থাকলে বিটিআরসিতে এলে সেগুলোর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান রিয়াজ আহমেদ।

গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্ব কমিশনের অন্যান্য কমিশনাররাও বিভিন্ন গ্রাহক ও প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

;

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজতির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শফিক মিয়া (৪৫) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

মৃত শফিক মিয়া জামালপুর জেলার সদর উপজেলার ঘারামারা গ্রামের মৃত কালা চাঁনের ছেলে। সে মারামারি মামলার আসামি ছিলেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শফিক মিয়া মারামারির মামলার আসামি। আগে থেকেই সে অসুস্থ ছিল। অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ কারাগারে আনা হলে শফিক মিয়া আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারাগারের চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের স্বজনরা এসেছে। সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;