গণপরিবহনে যৌন হয়রানি, আতঙ্কে নারী যাত্রীরা!



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণপরিবহনের নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে। বয়সে ছোট কিংবা বড়, প্রতিনিয়ত এমন ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছেন, অধিকাংশ ঘটনায় বাসের চালক, হেলপার বা তাদের সহযোগিরা সরাসরি জড়িত।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের ‘নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ শীর্ষক এক গবেষণায় দেখা যায়, দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতে ৯৪ শতাংশ নারী কোনো না কোনো সময় যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর এদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ নারী ৪১-৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ মাসে গণপরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২২ টি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পর্যালোচনা করে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে তথ্য উল্লেখ করে বলেন, গণপরিবহনের চালক-হেলপারসহ সহযোগীরা মিলে ৯টি গণধর্ষণ, ৮টি ধর্ষণ ও ৫টি শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়েছে।

কয়েকদিন আগে বাড্ডা লিংক রোড থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উঠেছিলেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী। দুপুর ১টার দিকে বাসটি যখন নতুন বাজারে পৌঁছায়, তখন যাত্রীদের বড় অংশ নেমে যায় বাস থেকে। বাইরে অনেক যাত্রী থাকলেও বাসটিতে কোনো যাত্রী উঠাচ্ছিলো না বাসের হেলপার। এতে ওই ছাত্রীর মনে সন্দেহ হয়। তিনি বাস থেকে নামতে চাইলে বাস চালকের সহকারীরা তার পথ আগলে দাঁড়ায়। বাসের হেল্পার তার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মেয়েটি চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নেমে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ওই বাসের চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ইথিকা করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্রী। তিনি বলছিলেন, সবচাইতে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি যখন সন্ধ্যায় রাস্তায় বের হতে হয়। বাসের ভিতরে গায়ের সাথে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মানুষ। রহস্যময় দৃষ্টিতে তাকায় হেলপার। গাড়ীর ব্রেকে শরীরের উপর হেলা পড়ার সুযোগ খুঁজে অনেকে।

সবকিছু মিলে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। এই কারণে স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করার সাহস আমাদের এখনও হয়ে উঠেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওম্যান এন্ড জেন্ডার স্টাডিস ডিপার্টমেন্টের প্রফেসার তানিয়া হক বলেন, রাস্তায় কিংবা বাসে চলতে না পারার নারীদের এই ভীতি একদিনে আসেনি। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, আমাদের আশেপাশে কিছু মানুষ তাদের ভয় দেখিয়েছে, ভয়ের পাবার মত ঘটনা ঘটিয়েছে।

নারীদের সাহসী হয়ে উঠতে হবে বলে তিনি বলেন, এই ভয়ে ভীতু হয়ে বসে থাকলে সমাজের ঐ নোংরা দৃষ্টি থেমে যাবে না, নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম শক্তিশালী হওয়ায় আজকাল প্রতিবাদ করার একটা বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেটাও কাজে লাগানো যেতে পারে বলে মনে করেন এই প্রফেসর।

অন্যদিকে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এক জরিপে বলছে, ৮৭ শতাংশ নারী বাস টার্মিনাল বা ট্রেন স্টেশনের মতো জায়গায় হয়রানির শিকার হয়। রাস্তায় ৮০ শতাংশ আর স্কুল-কলেজের বাইরে প্রায় ৭০ শতাংশ নারী।

যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহনে নির্যাতনের শিকার সবচেয়ে বেশি কর্মজীবী নারীরা। আমরা যদি তাদের নিরাপত্তা দিতে না পারি কেন তাহলে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে।

পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিগত কিছুদিনে এসব ঘটনায় ৬০ জনেরও অধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তার বিষয় প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি আমরা।

   

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে অটোচালকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কালীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে রাশেদুল ইসলাম (৫৪) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজারে তার মৃত্যু হয়। 

মৃত রাশেদুল ইসলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বিছনদই গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি আগে পেপার বিক্রেতা ছিলেন। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে ভোটমারী গোলাম মৃর্তজা ক্লিনিকের মাইকিং করতে করতে চামটার হাট বাজারে যান। সেখানে একটি হোটেলে খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় অসুস্থা হয়ে পড়েন। পরে অসুস্থ হওয়ার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করার সময় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। 

ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট মশিউর রহমান বার্তা ২৪ কমকে জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে সেখানে তিনি হিট স্ট্রোক করে মারা যান।



;

প্রতিবন্ধীদের মূল ধারায় আনার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা আছে: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল ধারায় আনার জন্য একটা বড় প্রচেষ্টা রয়েছে। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নীতিমালা তৈরি করা ও আইন তৈরি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী শিল্প উৎসব ঢাকা-২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত তারা শারীরিক মানসিক নানা ধরনের শিকার হলেও বুদ্ধি ও মননশীলতায় স্বাভাবিক মানু্ষদের মত যে তাই নয়, বরং সৃজনশীলতায় অনেক ক্ষেত্রে বেশিও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি বৈষম্য হীনতার সেই স্বপ্নের কথা, সেই সমাজ তৈর করার কথা বলি। আমরা যখন জাতির পিতার কথা বলি তখনো বলি তার বৈষম্যহীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন সে কথা।

আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি উল্লেখ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আইসিটি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অনেক কিছু আছে আবার অনেক কিছু নেই সেটাও সত্যি। তবে যেটা সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা সেটা আছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সেটা অনেক জায়গায় থাকে না। আমার সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করাটা এখন প্রয়োজন। আমাদের সরকারি ভবন, কর্মস্থল, পাবলিক স্পেস সব পর্যায়ে আমরা যেন অভিগমনতা নিশ্চিত করতে পারি এটা করা আমাদের জন্য জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা চাই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার যে শিশুরা রয়েছে তারা যেন সাধারণ সবার সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা তৈরি করা। আর যাদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। সবার মতই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যবস্থা করা। এটা সবার মতই তাদের জন্যও অপরিহার্য। 

;

মানিকগঞ্জে সেলফি তুলতে গিয়ে আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেওয়ার সময় সেলফি তুলতে গিয়ে শাড়িতে আগুন লেগে দগ্ধ হয় মলি রানী (৪৬) নামের এক নারী। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মলি রানী। মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গঙ্গাধর পট্টি এলাকার অশোক্নসাহার স্ত্রী মলি রানী।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাসন্তী পূজার দশমীর দিন গত ১৮ এপ্রিল শহরের কালীবাড়ী মন্দিরে বাসন্তী দেবীর কপালে সিদুর দেয়ার সময় দেবীর সাথে সেলফি তুলছিলেন মলি। এ সময় পাশে থাকা প্রদীপের আগুন শাড়িতে লেগে দেহের ৩০ ভাগেরও বেশি পুড়ে যায়।

পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে শুক্রবার সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাসন্তি পূজার সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ছিলো মলি। এরপর সেখানেই চিকিৎসাদীন তার মৃত্যু হয়।

;

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

মানিকগঞ্জে ছাদ থেকে পড়ে মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে ছাদে খেলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে মাহিয়া আক্তার (১৭) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহিয়া আক্তার মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বড় কালিয়াকৈর এলাকার আল মামুনের মেয়ে। সে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিল।

মাদরাসার শিক্ষিকা শারমিন আক্তার জানান, সকালে ক্লাসের ফাঁকে মাদরাসার ছাদে খেলাধুলা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদরাসার ভবনের চার তলা থেকে নিচে পড়ে যায় মাহিয়া। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;