সাভা‌রে প্রশংসায় ভাসছে 'পুলিশ'



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

লাঠিপেটা বা জল কামান নয়, আন্দোলনকারীদের মাঝে মিশে গিয়েও যে নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফেরানো যায়, সেই উদাহরণটাই ফের সামনে নিয়ে এলো ঢাকা জেলা পুলিশ।

পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ- এই চেতনা নিয়ে জেলা পুলিশের এই ভূমিকা এখন প্রশংসিত হচ্ছে জেলার সর্বত্র। যে কারণে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢাকা - আরিচা মহাসড়কে হয়রানির শিকার হতে হয়নি কোনো সড়ক ব্যবহারকারীকে। পুলিশের সদয় আর মমতাময় ভূমিকাই সামাল দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

অনেকেই বলছেন, পুলিশের এ ধরনের ভূমিকা অপ্রীতিকর পরিস্থিতিকে দ্রুত সহনীয় করতে পারে। যার জন্যে প্রয়োজন পু‌লিশ বা‌হিনীর প্রতি সঠিক নির্দেশনা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রোকসানা জামান বলেন, 'শিক্ষার্থীদের টানা ষষ্ঠ দিনের আন্দোলনে পরিবহন চলাচল সীমিত হলেও সাভারবাসীকে স্বস্তি‌তে রেখেছে পুলিশের ভূমিকা। যার বড় কৃতিত্ব ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান।'

শাহ মিজান শাফিউর রহমান ব‌লেন, 'কোনো উষ্কানির ফাঁদে পা দেওয়া নয়, নয় কঠোর কোনো ব্যবস্থা। সব সময় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি 'কোমলভাবে' মোকাবিলা করার। অারও বলা হয়েছে, 'ওরা আমাদের সন্তান। সড়কে থাকা শিক্ষার্থীদের প্রতি মানবিক ও শিশুবান্ধব আচরণের বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে। প্রথমে আমরা মনে করেছি ওরা আমাদের সন্তান। আমার টিম সেটাই দেখিয়েছে।'

তিনি অারও বলেন, 'নিরাপদ সড়কের দাবি আমাদেরও। সড়কে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আমাদের অনেক সদস্য সড়কে প্রাণ দিয়েছেন।আমরা সড়কে বেঘোরে কাউকে মরতে দিতে পারি না। সরকারও তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছে। কিন্তু দাবি আদায় করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে কেউ যাতে বিতর্কিত করতে না পারে, কেউ যাতে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নিয়ে জনজীবনে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে না পারে- সে ব্যাপারে আমরা বেশ সজাগ।'

পুলিশ সুপারের এই বক্তব্যের সত্যতা মেলে সাভারের সড়কে। সেখানে শিক্ষার্থীদের মিছিলের মাঝে ঢুকে কাঁধে হাত রেখে হাঁটতে দেখা যায় সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদুজ্জামান ভূইয়াকে। এসময় তা‌দের বাড়াবাড়ি না করে অসহিংস আন্দোলন বজায় রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট দেখা যায়।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশের ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তার এক‌টি ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল। জুয়েল নামে এক ব্য‌ক্তি তার ফেসবুক ওয়া‌লে এই ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, 'সাভারের মতো শান্তির জায়গা আর কোথাও আছে? এখানে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ তো করছেই না, বরং তাদের হাতে হাত মিলিয়ে শা‌ন্তিপূর্ণভা‌বে অান্দোলন চালিয়ে য‌ওয়ার পরামর্শ দি‌চ্ছেন। সাভারের পুলিশ প্রশাসনকে দেখে সারা দেশের পুলিশদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।'

এসআই ফরহাদুজ্জামান ভূঁইয়া ব‌লেন, 'আমি ডিউটিতে ছিলাম। আমাদের প্রতি ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান স্যারের নির্দেশনা ছিল, ওদের অনুভূতিকে আগে সন্মান দেওয়া। আবার দেখতে হবে কোমলমতি এই শিক্ষার্থীদের অনুভূতিকে ব্যবহার করে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃ‌ষ্টি করতে না পারে। স্যারের নির্দেশ মেনে আমরা কাজ করছি।কখন কে ছবি তুলেছে তাও খেয়াল করিনি।ছবিটি  ফেসবুকে ভাইরাল হবে- এটাও ভাবি নি।'

   

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার, ব্যস্ত কারিগররা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এখন শোভা পাচ্ছে হাতপাখা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাতপাখা নাড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি খুঁজছেন মানুষ। আর সেজন্যই কদর বেড়েছে হাতপাখার। আর এই চাহিদা মেটাতে পাখা তৈরির ধুম পড়েছে পাখাপল্লিতে। পাখার চাহিদা মেটাতে কারিগরেরা সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন।

কয়েক বছর আগেও গরমের দিনে হাতপাখাই ছিল সহায়। ঘরে ঘরে ছিল এর কদর। এখন বৈদ্যুতিক পাখা আর এয়ার কন্ডিশনের দাপটে কমেছে হাতপাখার ব্যবহার। তবে এবারের টানা তাপপ্রবাহ আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চাহিদা বেড়েছে হাতে তৈরি পাখার। ব্যস্ততাও বেড়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার হাতপাখা শিল্পীদের।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্করা গ্রামটি হাতপাখার গ্রাম বলে পরিচিত। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির ছোট বড় সকলেই এ পেশার সাথে জড়িত। লস্করা গ্রামে এখন হাতপাখা তৈরির মহাকর্মযজ্ঞ। কেউ বাঁশ আনছেন, কেউ বুনছেন, কেউ করছেন রং, আর নারীরা তাতে ফুটিয়ে তুলছেন বাহারি রকমের ডিজাইন। তালপাখা, বাঁশের পাখা ও সুতার পাখা তৈরি করেন তারা।

হাতপাখা তৈরি করেই স্বাবলম্বী গ্রামটির অধিকাংশ পরিবার। বাড়ির কাজের পাশাপাশি হাতপাখা তৈরি করে থাকেন গ্রামের নারীরা। স্কুলের অবসরে শিশু-কিশোররাও কাজ করে। বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন পুরুষরা। পাইকারি দরে একটি পাখা বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। গরমের দিনে অল্প দামের এই পাখাতেই গ্রামীণ মানুষের আস্থা।

তবে বাঁশ, সুতাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভের মুখ দেখছে না পাখা তৈরির কারিগরেরা।


মুদি দোকানি রেজাউল বলেন, একদিকে গরম অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং জীবন অতিষ্ঠ। হাতপাখার দাম কিছুটা বেড়েছে। আগে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হয়। তবে হাতপাখায় স্বস্তি পাওয়া যায়।

সফিকুল ইসলাম বলেন, গরম আর লোডশেডিং দুটোতেই মানুষ অতিষ্ঠ। লোডশেডিং এ চার্জার ফ্যানও কাজ করে না। সেজন্য হাতপাখাই এখন ভরসা। হাতপাখার বাতাস অনেক ঠান্ডা।

স্কুল শিক্ষার্থী নরেন চন্দ্র বলেন, আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি পাখা তৈরির কাজ করি। গরমে স্কুল বন্ধ, খেলাধুলা করা যায় না। সেজন্য বসে বসে আমরা পাখা বানাই। যা আয় হয় তা দিয়ে আমাদের হাত খরচের টাকা হয়ে যায়।

হাতপাখা কারিগর লক্ষ্মী রাণী বলেন, আমরা সংসারের কাজের পাশাপাশি এই হাত পাখা তৈরি করি। এভাবে আমাদের কিছু আয়। এতে সংসারে উন্নতি হয়েছে। আমরা মহিলারা পাখা বানাই আর পুরুষেরা সেই পাখা বিক্রয় করে। আমরা এ গ্রামের সবাই এই পেশার সাথে জড়িত।

দিল মোহাম্মদ বলেন, আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে হাতপাখা তৈরির কাজ করছি। গরম কম হোক আর বেশি হোক এটা আমাদের পেশা।

ব্যবসা আর টুকটাক কৃষির পাশাপাশি আমাদের গ্রামের সবাই এ পেশার সাথে জড়িত। সকলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা পাখাগুলো পাঠাই। তবে আমাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিলে এর পরিধি আরো বাড়ানো যাবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহ বেশি হওয়ায় হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে। এ শিল্পকে ধরে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

;

বনানীতে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানীতে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এই বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, শ্রমিকরা নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করছেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সৈনিক ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। বোঝানোর পরেও তারা সড়ক থেকে সরে যাচ্ছেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (৩মে) সকাল ছয়টা থেকে শনিবার (৪মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩০০ পিস ইয়াবা, ৬২ গ্রাম হেরোইন ও ২ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

আরও দু’দিন তাপপ্রবাহ থাকতে পারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপপ্রবাহ আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

যদিও বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার (৪ মে) দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গতকালের মতোই দিনের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হবে না।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী দুই দিন অন্তত তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড গরমের কষ্ট আবারও ফিরে এসেছে। দিনের বেলায় তাপপ্রবাহ থাকছেই, রাতের বেলায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

শুক্রবার (৩ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

;