পরিবহন সংকট, পথে পথে সীমাহীন ভোগান্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: মিরপুর ১০ থেকে শাহবাগে যাবেন মিথিলা ফারজানা। দশ নম্বর মোড়ে  আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পরিবহন না পেয়ে ভ্যানে রওনা হলেন। একটি ভ্যানে সঙ্গী হিসেবে পেলেন আরও ৫ যাত্রী।

যাত্রীর চাপে ভাঙা রাস্তা পার হয়ে কাজীপাড়া আসতে না আসতেই বাধলো বিপত্তি। ভ্যানের চাকা ফেটে রাস্তায় পড়ে গেলেন যাত্রীরা। কেউ পেলেন পায়ে ব্যথা কেউ কোমড়ে।

কয়েকদিনের পরিবহন ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির এমন চিত্র এখন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় জনদুর্ভোগ এখন চরমে। রাজধানীর ভেতরে কয়েকটি বিআরটিসির বাস চলতে দেখা যায়। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/04/1533362880634.jpg

শনিবার ৪ (আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাজধানীতে গণ পরিবহনের তীব্র সংকট। উবার পাঠাওয়ের মত সার্ভিস গুলো যারা ব্যবহার করতে পাচ্ছেন না সেই অল্প আয়ের মানুষ গুলো চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/04/1533363049658.jpg

মতিঝিল ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কোন গাড়ির দেখা মিলছে না। মাঝে মধ্যে দু'একটি পিকআপ ভ্যান আসলে তাতে উঠতে শুরু হচ্ছে তীব্র প্রতিযোগিতা। হুড়োহুড়িতে কয়েকজন যাত্রীকে পড়ে যেতেও দেখা গেছে।

শান্ত নামের একজন ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, বাস সংকটের ফলে রিকশা সিএনজির ভাড়া অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। মোহাম্মাদপুর থেকে শাহবাগ যেতে ৩০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে রিকশা ভাড়া।  যেটা একজন ছাত্রের পক্ষে কষ্টসাধ্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/04/1533362902267.jpg

এদিকে রাজধানীর বাস টার্মিনাল গাবতলি, মহাখালী, সায়দাবাদ এলাকায় থেকে দুপাল্লার কোন গাড়ি রাজধানী ছেড়ে যায়নি। পরিহবন শ্রমিক ও মালিকরা  নিরাপত্তার অজুহাতে রাজধানীর ভিতরে আর বাহিরে বাস ছাড়ছেন না।

বেলা ১১ টার দিকে, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামটোর, শাহবাগ, মোড়ে মোড়ে অফিসগামী সহ সাধারণ যাত্রীদের পরিবহণের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এসময় কেউ কেউ কোন যানবহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই পথ ধরেন তাদের গন্তব্যস্থলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/04/1533363072080.jpg

এদিকে ষষ্ঠ দিনের মত আবারও মাঠে নেমেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর সাইন্সল্যাব, ধানমণ্ডি ২৭, মিরপুর ১০ অবরোধ করে বসে বিক্ষোভ করছেন তারা।দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

ছবি: সুমন শেখ ও মেহেদী

   

পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার পাথরঘাটায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সকালে শেখ রাসেল স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয় বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সময় সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম কাকন, সাধারন সম্পাদক আরিফ তৌহিদ, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন, ইমাম হোসেন নাহিদ, নজমুল হক সেলিম, জাকির হোসেন খান, আমল তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা জানান, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের সদস্য শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম শুভ, জিয়াউল ইসলামসহ একাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেন শহিদুর রহমান।

এছাড়া চরদুয়ানী ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী আল মামুনের বিরুদ্ধেও হওয়া একটি সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম রাকিব, সুমন মোল্লা, আল আমিন ফোরকানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মামুনের পরিবার।

এছাড়াও মানববন্ধনে বিভিন্ন সময় স্থানীয় সাংবাদিক জাকির হোসেন খান ও জাফর ইকবালের বিরুদ্ধেও সংবাদ প্রকাশের জেরে হওয়া মামলার প্রতিবাদ জানানোসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বতিলের দাবি জানানো হয়।

;

সুশাসন ও জবাবদিহিতার অভাবে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সন্ধিহান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সুশাসন ও জবাবদিহিতার অভাবে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সন্ধিহান বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লষকরা। বিশ্লষকদের মতে, দেশে যদি চেইন ইন ব্যালেন্সিং কাউন্টার বেইলিং ফ্যাক্টর না থাকে তাহলে দেশের রাজনীতি অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। একইসঙ্গে শক্তিশালী বিরোধীদলের অভাবে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে না বলেও জানান তারা।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে দ্যা ঢাকা ফোরাম আয়োজিত 'রিজওনাল অর্থনীতি - এখন বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে এসব বলা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে রাজনীতি, অর্থনীতি, ইনভার্টার রিলেশনশীপ যেটা উঠে এসেছে এক্ষেত্রে একটা জিনিস আমি মনে করি, তা হলো দেশে যদি চেইন ইন ব্যালেন্সিং কাউন্টার বেইলিং ফ্যাক্টর না থাকে তাহলে দেশের রাজনীতি অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমাদের দেশে এখন কাউন্টার বেইলিং পাওয়া যায়না একজনও। এখন দেশে একজনই সব মানে তারায় সিদ্ধান্ত নেবে তারাই সব করবে। এটা হওয়ার কারণে কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতি অর্থনীতির অবস্থা এই হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের দেশে সামষ্টির অর্থনীতির পলিসিগুলোর কোন সমন্বয় নেই। মনিটরিংয় পলিসি বলেন বা অন্য কোন পলিসি বলেন কোনটার সঙ্গে কোনটার সমন্বয় নেই।

ধরেন, সরকার যদি কিছুই না করতো তাহলে মানুষের জন্য পথের বাঁধাগুলো যদি সরিয়ে দিতো ব্যবসায়ীদের কৃষকদের, শ্রমিকদের বাংলাদেশের উন্নয়ন আরও বেটার হতো। আরও স্মুথ হতো। কারণ এই যে বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে বেধে কিছু মানুষের অসুবিধা এবং কিছু মানুষের সুবিধা হয়তো দেয়া হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শক্তিশালী বিরোধীদলের অভাবে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে না। দেশে ক্ষমতাশীল দলের নানা অসংগতি থাকলে আস্থাশীল বিরোধী দলের অভাব রয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বিমুখতার কারণে এখন জন বিচ্ছিন্ন।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সরকার নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নির্যাতনের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে বিরত রেখেছে।

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর বলেন, সরকার ঋণ নির্ভর উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছে, দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে নীতিমালা প্রণয়নের মাঝে দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। ঋণ নির্ভর অর্থনীতি দেশকে খাদের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে। আপেক্ষিকভাবে সংকট সমাধান হলেও স্থায়ী সমাধান মিলছে না।

;

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদজননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি। আমরা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের কথা একেবারেই বলি না।

শনিবার (৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কাছে ‘জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর’-এর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আজ শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল; সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা মাঠে থেকে দেখেছি। সেদিন বৃহত্তর কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদেরই একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব শহীদজননী জাহানারা ইমাম।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদজননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন শহীদজননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, তুলে ধরতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সাইফ ইমাম জামি প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ভাইকে হত্যা করেন মনির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলগাঁও থেকে হাবিবুর রহমান রুবেল (৩১) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচাতো ভাই মনির হোসেন (২৫) বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ও হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় নিহত রুবেল নানাভাবে মনিরকে হয়রানি করতেন। এমন কি নিজে কাজ না করে মনিরের আয় করা টাকা জোর করে নিয়ে নিতেন। টাকা না পেলে মনিরের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করতেন। ফলে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, গত ২ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে তথ্য পেয়ে খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির গলি থেকে তোষকে পেচানো অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার লাশটি তার স্বামী হাবিবুর রহমান রুবেলের বলে শনাক্ত করেন। রুবেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত রুবেলের মা মিনু বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, মামলার তদন্তে নেমে খিলগাঁও এলাকার সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, পর্যালোচনা ও বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িত মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে পুলিশকে জানায়, রুবেল তার আপন চাচাতো ভাই। গত ১ মে রাত ১১টার দিকে রুবেল তার চুল কাটার দোকান মনির হেয়ার স্টাইল সেলুনে আসে। চুল কাটার সময় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ও হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে। পরে কমিশনার গলি এলাকার একটি দোকান থেকে তোষক এনে মৃতদেহটি পেচিয়ে তার সেলুনে থাকা বস্তায় ভরে পাশের গলিতে ফেলে দেয়।

চাচাতো ভাইকে হত্যার বিষয়ে মনির জানায়, জমিজমা ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধ ছিল। রুবেল কাজ করত না। বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করত। টাকা না পেলে ঝগড়া বিবাদে জড়াত। কিছুদিন আগেও টাকা না দেওয়ায় ১৫ দিন সেলুন বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ১২ হাজার টাকা দিলে সেলুন খুলতে দেয়। সব কিছু মিলিয়ে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে রুবেলকে শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজছিল।

;