বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-শেখ হাসিনা

, হোম

প্রফেসর ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী | 2023-09-01 12:23:27

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ইতিহাসের সংগ্রাম ও গৌরবের অপর নাম। বাংলাদেশকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু যেভাবে স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে সফল হয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট রয়েছেন। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামক স্বপ্নের দ্যুতিময় পরম্পরা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের মহাযাত্রা পথে শেখ হাসিনা আশার বাতিঘর।

'বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ শেখ হাসিনা' গ্রন্থে (চট্টগ্রাম: চন্দ্রবিন্দু, ২০২২) সংযোজিত ২২টি প্রবন্ধে আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রার ঐতিহাসিক পর্যালোচনায় বঙ্গবন্ধুর গৌরব ও সাফল্যের আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত দেখতে পেয়েছি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। বঙ্গবন্ধু যেভাবে মৃত্যুর পরোয়ানা ও ফাঁসির রজ্জুকে পরোয়া না করে বাঙালির অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনকে জীবনচেতনায় পরিণত করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, দেশরত্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত, অগ্রসর এবং দারিদ্র, ক্ষুধা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর।

বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্ব এবং দেশপ্রেমের ফল্গুধারা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঐতিহ্যের অপরিহার্য অঙ্গ, যাদের জীবন, কর্ম ও চৈতন্যের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত মুজিবাদর্শ, বাংলাদেশ ও বাঙালির স্বার্থ। যে কারণে পরাজিত শক্তির মরণকামড় মাড়িয়ে জীবনের ও জাগরণের গানে উদ্ভাসিত শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শত বিঘ্ন পেরিয়ে পরিচালিত করতে সক্ষম হচ্ছেন উন্নয়নের মহাসড়কে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও মতাদর্শের হীরন্ময় পথে।

চারবারে প্রধানমন্ত্রী রূপে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক উন্নয়নে নতুন ইতিহাস সৃজন করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে ঐতিহাসিক পদ্মা সেতু পর্যন্ত প্রলম্বিত হয়েছে 'উন্নত বাংলাদেশের রূপকার' শেখ হাসিনার সুদক্ষতার স্পর্শ। বাংলাদেশ ও বাঙালির স্বপ্ন ও সাধনার সর্বমহৎ অর্জন যেমন বঙ্গবন্ধুর, তেমনি তাকে বাস্তবায়িত ও অগ্রগামী করার একক কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

শুধু উন্নয়ন ও অগ্রগতিই নয়, অসাম্প্রদায়িক, শোষণ ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মুক্ত শান্তির বাংলাদেশের পুনর্জীবন ঘটেছে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুর যে বাংলাদেশকে পরাজিত শক্তি আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত ও জর্জরিত করেছিল এবং হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বন্দি করেছিল মধ্যযুগীয় বর্বর অন্ধকার প্রকোষ্ঠে, তাকে পাষাণের কবল মুক্ত করে মুক্তধারার মতো প্রবাহিত করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার কুশলী ও সুদক্ষ নেতৃত্বে ফিনিক্স পাখির মতো পুনরুজ্জীবন ঘটেছে উদার, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, উন্নয়নমুখী বাংলাদেশের।

ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে, সামাজিক পুনর্গঠনে, সাংস্কৃতিক বিনির্মাণে ২৮ সেপ্টেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন। আজ প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন। এদিনে তিনি স্পর্শ করেছেন ত্যাগ, সংগ্রাম ও অর্জনের ঘটনাবহুল ৭৫ বছর।

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী-বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তিনি রাষ্ট্রনায়ক থেকে নিজেকে নিয়ে গেছেন বিশ্বনেতার কাতারে আর বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে উন্নীত করেছেন মর্যাদার আসনে।

জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জন্মদিনের অন্তহীন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

লেখক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের সাবেক ডিন, শিক্ষক সমাজের বরিষ্ঠ নেতা, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর