আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ঝালকাঠিতে এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল কাটা ও মাড়াই করতে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। ভালো ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলায় এ বছর ৪৯ হাজার ৯৪১ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। বীজ রোপণ থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত কোনো রকম বৈরী আবহাওয়া না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।
বিগত বছরে অসময়ের বৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় থাকায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কয়েক হাজার হেক্টর জমির আধাপাকা ধান পচে গিয়ে ফলনের বিপর্যয় হয়। এতে কৃষক বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পরেছিল। এ বছর চিত্র ভিন্ন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর আমন ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ হাজার ১৬৯ মে.টন। এখন পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ফসল কাটা হয়েছে। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল প্রায় এক লাখ মে.টন চাল। ফলনও হয়েছে বিগত ১০ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ।
তবে কৃষকদের দাবি ভালো ফলনের পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত ফসলের যেন ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে সরকার। তাহলে কৃষকরা আগ্রহ নিয়ে চাষাবাদ করবে, অর্থনৈতিক ভাবে মুক্ত হবে তারা। বর্তমানে আমন ধানের মণ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নলছিটি উপজেলার প্রতাপ গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে ধানের ন্যায্য মূল্য যেন আমরা পাই সে ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
একই এলাকার কৃষক আব্দুল বারেক খান বলেন, ‘বর্তমানে শ্রমিকের পারিশ্রমিক অনেক বেশি। ফসল রোপণ থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ হয়। ধানের দাম বেশি হলে আমরা বাঁচতে পারি। আর কম হলে আমাদের বাঁচার কোনো পথ থাকে না।’
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এখানকার কৃষকদের আমরা বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিয়েছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। যা বিগত ১০ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ।’