নীলফামারীতে আগাম আলু চাষে ৪শ কোটি টাকা আয়ের আশা

, কৃষি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী | 2024-10-26 16:16:33

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু উৎপাদনে চাষিরা ঈর্ষণীয় সফলতা পেয়ে আসছেন। এখন বাজারে আলুর দাম বেশি। তাই উপজেলার চাষিরা শুরু করেছেন আগাম আলু চাষ। স্বল্পমেয়াদী আগাম আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে সেই জমিতে আগাম আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। এ অঞ্চলের জমিগুলো একদম উঁচু বেলে-দোআঁশ মাটি। ভারী বৃষ্টিপাতেও সেখানে সহজে পানি জমে না। তাই পানি জমে আলু নষ্ট হওয়ার তেমন ভয় থাকে না। তা ছাড়া বর্তমানে আলুর বাড়তি দামের কারণে আগাম বাজার ধরার আশায় চাষিরা আগেভাগেই আলু রোপণ করছেন। ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের বীজ আলু রোপণে কোমর বেধে লেগেছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আলু চাষের আবহাওয়া অনুকূলে। আগাম আমন ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আগাম আলু রোপণের জন্য জমিতে হালচাষ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ আলু সংগ্রহ ও রোপণে শত শত চাষি ও কৃষিশ্রমিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠের এত প্রাণচাঞ্চল্য নজর কাড়ছে সবার। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক আগাম আলু রোপণ শেষ করেছেন।

এতে সদর ইউনিয়নের আলুচাষি লুৎফর রহমান লুতু ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলু রোপণ করছেন। অপরদিকে পুটিমারি ইউনিয়নের কালিকাপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের কৃষক ফজলে রাব্বি চৌধুরী টিপু ২০ থেকে ২২ বিঘা জমি, দুরাকুটি গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী ১৫ বিঘা জমিতে আগাম আলী রোপণ করবেন বলে জানান।

দুরাকুটি এলাকার আলুচাষি আকবর আলী বলেন, গত বছর আমি ১০ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করেছিলাম। সেখানে আগাম আলু চাষ করে কয়েক লক্ষ লাভ করেছি। তবে এবার সবকিছুর বাজারমূল্য বেশি রাসায়নিক সার, হালচাষ, কৃষকের দাম বেশি। এবার সবকিছুর দাম বেশি বিক্রিতে বাজার মূল্য বেশি না পেলে লোকসান গুণতে হতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, এবছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার  মেট্রিক টন আলু উৎপাদন আশা করা হচ্ছে। আরও আশা করা যায় উপজেলায় ৪ শ কোটি টাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর