শেষ শিশু প্রহরে শৈশবের উচ্ছলতা

, শিল্প-সাহিত্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 10:01:08

শৈশবের উচ্ছল স্মৃতি প্রত্যেক মানুষের নির্মল আনন্দের উৎস। হাসি-খুশি উচ্ছল একটি শৈশব শিশুর আগামীদিনের অনুপ্রেরণা। সেই অনুপ্রেরণা জোগাতেই অভিভাবকরা বইমেলায় শিশুদের জ্ঞাননির্ভর করে গড়ে তুলতে এসেছেন শিশু চত্বরে। শিশুদের কাছে এটি অভিভাবকের দেওয়া সবচেয়ে মূল্যবান উপহার। তাইতো শিশু প্রহর এখন শুধুই শিশুদের রাজ্য। আর এখানকার রাজা-রানী শিশুরাই।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলার শিশুপ্রহর শুরু হয়। আর এ সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগান অভিভাবকরা। মেলায় ঘুরে ঘুরে মনের মতো বইগুলো কিনছে শিশুরা। মেলায় শিশুদের জন্য কমিকস, রূপকথা ভূতের গল্পসহ রয়েছে নানান ধরনের বই।

শিশু প্রহরের বেলা ১২টার ঠিক দশ মিনিট আগেই সিসিমপুরের মঞ্চে আসে বইপ্রেমী টুকটুকি। শিশুদের সঙ্গে আড্ডায় টুকটুকি সবাইকে বই পড়তে বলে। কেননা বই টুকটুকির মতো সবার বন্ধু।

এরপর হালুম আসার সাথে সাথে অনেকে দৌড়ে ছুঁয়ে দেখতে যায় শিশুরা। হালুমও বলে বন্ধুরা যদি হালুমের মতো বেশি বেশি মাছ খাও তাহলে হালুমের মতো শক্তি হবে। পরে হালুম সব বন্ধুদের সাথে হাত মেলায়। শিখু সবাইকে মিলেমিশে থাকতে বলে। আর প্রশ্নকর্তা ইকড়ি তো সবাইকে আসার সাথে সাথে প্রশ্ন শুরু করে। ইকড়ি তার ছোট্ট বন্ধুদের বেশি বেশি করে প্রশ্ন করতে বলে। তাহলে তারা তাদের জানা অজানা বিষয় জানতে পারবে।

বই মেলায় মা-বাবার হাত ধরে এসেছে রিয়া মণি (৬)। কার্টুনের বই তার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। তবে সিসিমপুরের হালুম হুলুম বই কিনবেন বলেও জানাল এই ছোট্ট শিশু। রিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি বই মেলায়। শিশু প্রহর শিশুদের জন্য ভিন্ন এক আয়োজন। টিভিতে দেখে ও এখানে আসতে চাইছিল। এখন বই দেখছে ঘুরে ঘুরে।

নিলীমা ইসলাম দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মায়ের সঙ্গে গল্পের বই কিনতে এসেছে বইমেলায়। সে জানায়, আমি অনেকগুলো ভূতের বই কিনব। কার্টুনের বইও কিনব। আম্মু বলেছে সব বই কিনে দেবে।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। প্রায় প্রত্যেক অভিভাবকের সঙ্গে রয়েছে একজন-দু’জন শিশু। শিশু চত্বর যেন এক শিশুদের রাজ্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর