হীরককণার মতো এইসব উজ্জ্বল সকাল টাইমলাইন থেকে গড়িয়ে গেলে সবকিছুতেই এবার জন্ম নেবে অবিশ্বাস। পেট-বুক-উরু ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবে ছায়াপথ আর উত্তর-দক্ষিণ প্রদক্ষিণ শেষে পূর্বপুরুষের ভিটেয় আপনি যখন স্কচের বোতল উপুড় করবেন তৎক্ষণাৎ ঝনাৎ, শুরু হতে যাচ্ছে মহামানুষের থ্রিলার।
হাওয়ায় আপনার চুল উড়ে চলেছে পুবে
টাইমলাইন জুড়ে ঘি রঙা কোয়ান্টাম প্রকৃতি
ফাদার জর্জ লেমিত্রে হাত ধরছেন ব্রহ্মার
অথচ মনেমনে ভাবছেন মহাবিস্ফোরণ ভাবনা
ট্রেনের কামরায় ফুরিয়ে আসছে
এইসব খুচরো ছোট বিকেল
এভাবে দরজাও ফুরিয়ে আসে
জানলা আঁটো; সন্ধ্যা নেমেছে কিছু আগে
আপনি আপেলপাতায় হাত রাখলে
খুলে যায় ঘূর্ণন পথ
লাল মাংস, মদ আর এটিএম বুথ
স্বভাবসুলভ আপনাকে স্বাগত জানায়
অতঃপর আপনি বলেন, ফেংশ্যুই মতে, বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ধাতব বস্তু রাখলে সম্পদ বৃদ্ধি হয়। এবং আফিম এক যুদ্ধের নাম। এদিকে আপনি বেবি বুমারস, ফেংশ্যুই ছেড়ে আফিমের গল্প শোনাতে স্বর্ণতরলে সামান্য আকাশগঙ্গা মিলিয়ে হঠাৎ জেন এক্সকে বলছেন, শপথ মেঘপুঞ্জের, শপথ স্বচ্ছ এই জলশরীরের, অদৃশ্য বস্তকণার মতই আপনার ওপর ভর করেছে ডার্ক ম্যাটার।
অতএব কল্পনা কর। উপলব্ধি কর।
এরপর বরফে মুড়ে থাকা পাহাড়ে পাহাড়ে বেজে উঠছে প্রবল ঝড়ো হাওয়া। উদ্দাম দৌড়ের পাশে বোতলে ফিরে যাচ্ছে গেলাসের স্কচ। বিরামচিহ্নের পাশে জেগে উঠছে সৃজনধ্বনি।
মন স্থাপন করো। বুদ্ধি স্থাপন করো। ধৈর্য ধারণ করো। তাকে দেখাও পথ।
আগমন ঘটছে জেন আলফার..
দে আর অলসো এক্সপেক্টেড টু বি দ্য লঙ্গেস্ট লিভিং জেনারেশন এজ ওয়েল এজ দ্য ওয়েলদিস্ট। ঠিক যেন পূরনো টাইমফ্রেমে ফিরে যাওয়া।
বলতে না বলতেই,
আপনি পরিণত হন এক বোতামে…
বোতাম থেকে বিন্দুতে..
বিন্দু থেকে অদৃশ্যে…
আপাতত একটা সাদামাটা রুমাল
পথে ফেলে রাখা এবং
ডিসগাইস আর্টিস্ট আপনার আইডেন্টিটি
পালটে দেবে কিছুক্ষণের মধ্যেই
তারপর ধাপে ধাপে পিছিয়ে যাবে সময়..
আচমকা আমরা ঢুকে পড়ব বিপর্যস্ত সেইসব দিনে
আপনার রণনীতি বড্ড বীভৎস
আদেশ না মানলেই অতর্কিত হামলা
এবং সে বর্বরতা থেকে আর একটা পিঁপড়েও বাঁচবে না
আপনার নির্দেশে পুড়িয়ে দেওয়া হবে সমস্ত লাইব্রেরি
লেখা হবে সেই সিক্রেট বুক..
চীনের প্রাচীরের সামনে
আপনি সেনাদের এমনভাবে রেখেছেন যাতে
চৈনিক বুদ্ধিও হার মেনে যায়
আপনাকে এবার
আমরা নির্দেশ করছি দ্য গ্রেট খান
সিক্রেট বুক হাতে নিয়ে চলে আসুন সোজা স্টুডিওতে
ইতিহাসের পুনর্খনন পর্বে
এবার আপনাকে দেওয়া হচ্ছে প্রেমিক তেমুজিনের চরিত্র..
যে কোনো মুহূর্তেই ফিরে আসবে
সাদা বাড়িটার স্মৃতি
অথবা নির্বাসন
দূরত্ব বাড়ালে যে
বিরাম চিহ্নের দিকে পড়ে হেলে
প্রকারান্তরে দূরে চলে যায় বন্ধুরা
যেন বরফের ভেতর দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে এক শব্দ বন্দর
আরেকটু স্তব্ধতা মাখলে দেখা যেত—
শূন্যতা থেকে ঝরে পড়ছে প্রেম অপ্রেম খেলা
ঘুমন্ত এই শহরে শেষে চৌরাস্তাও ফুরিয়ে যাবে। মৃতদেহগুলো মাটিচাপা দিতে দিতে পুনরায় জেগে উঠবে ধর্ষক ও ঘাতক। জখম সামলে প্রতিটি জিভের ডগায় বাজবে, অহোঃ!
বিপদসীমা পেরিয়ে নামছে তবু সকাল। নামছে হিরোসিমা দিন আর ফুটছে ওয়াটার লিলি।
মহামান্য দার্শনিক, আর এযাত্রায় আমরা ঘুমিয়ে পড়লেও যে কোনো মুহূর্তে আপনার ফিরে আসার সম্ভাবনায় জেগে আছে ওই রেণুবিচ্যূত এক শিশু..
মন এক অসতর্ক অলিভের বন
ধারদেনা কাঁধে নিয়ে
সূর্যাস্তে যে লিখে রাখে প্রেম আর
ছায়ার দূরত্ব রেখে মুছে দেয় প্রাণ
অথচ কতদিন, বিষণ্ণতার মন্ত্র শিখছে হাওয়া
ঢেউ থেমে গেলে জেগে উঠছে একটি দুটো জাহাজ
কিভাবে হাওয়াগাড়ি চলে যাচ্ছে ঘুমপথ ঘুরে
নিরাময়ের দিকে
তাকেও আমরা ভাবছি প্রতিহিংসা...