জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন বেরোবি’র বিতর্কিত ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তা

, ক্যাম্পাস

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-26 00:54:19

মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকার ডিজাইন বিকৃতির ঘটনায় উপাচার্যের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক-কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনংসংযোগ তথ্য ও প্রকাশনা দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিন্ডিকেটের ৭৫তম বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অপ্রত্যাশিত ওই ঘটনার জন্য ওই শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দকে পত্র দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়েছে এবং দেশ ও জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা প্রত্যেকে ক্ষমা চেয়ে উপাচার্যের কাছে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন।

গত বছর (মহান বিজয় দিবস-২০২০) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা জাতীয় পতাকা সদৃশ ব্যানারসহ ছবি তোলেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২১ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য একটি ‘অনুপুঙ্খ তদন্ত কমিটি’ গঠন করে। উক্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট-এর ৭৪তম সভায় সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হককে আহ্বায়ক এবং অপর সিন্ডিকেট সদস্য ও প্রক্টর জনাব মো. আতিউর রহমানকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্য ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন।

উক্ত কমিটির প্রতিবেদন ২০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট এর বিশেষ সভায় পর্যালোচনান্তে দেখা যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনায় উল্লিখিত শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ ছবি তোলায় অংশ নিয়েছেন। তবে তাঁদের বক্তব্য ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনাটি অসতর্কতামূলক ও অনিচ্ছাকৃত হলেও বিষয়টি জাতীয়ভাবে সংবেদনশীল হওয়ায় প্রত্যেককে ভবিষ্যতের জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়াও সকলকে উপাচার্য মহোদয়ের মাধ্যমে প্রকাশ্যে দেশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। জাতীয় পতাকা সদৃশ উক্ত ব্যানার ব্যক্তিগতভাবে সঙ্গে করে নিয়ে এসে ছবি তোলার জন্য ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক সোহাগ আলীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এর সহকারী প্রভোস্ট পদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর