‘উপাচার্যের পদ আবাসিক নয় রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব আবাসিক’

, ক্যাম্পাস

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 13:36:35

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাকে ক্যাম্পাসে পাওয়া যায় না। আমি নিখোঁজ হয়ে যাই। আমি ঢাকায় থাকি। অথচ আমি প্রতিদিন ২০-২২ ঘণ্টা কাজ করি।’

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বেলা ১১ টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, আমি ঢাকায় থাকলে লিয়াঁজো অফিসে কাজ করি। রংপুরে থাকলে বাসায় থেকে কাজ করি। দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু চলছিল। কিন্তু মিথ্যা ও অসংলগ্ন যেসব তথ্য সংবাদ মাধ্যমে জুড়ে দেয়া হচ্ছে, তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো আমরা পাইনি। এর আগেই গণমাধ্যমে এমন ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ যা সত্যিই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে দোষারোপ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়, প্রশ্রয় ও আসকারায়। এ ধরনের জায়গা থেকে এমন অভিযোগ অভিযোগ তোলা রাজনৈতিক অপকৌশল।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম দুটি স্থাপনা শেখ হাসিনা হল এবং ড. ওয়াজেদ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইউজিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনানুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে ইউজিসি। তদন্ত কমিটি অনিয়মের সঙ্গে অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে।

ইউজিসির তদন্ত কমিটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর অজুহাতে অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে উপাচার্য, তার ভাগ্নে ইঞ্জিনিয়ার মজনুর কাদের এবং অন্যান্য কয়কজন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর