যে কারণে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বসেরা

, ক্যাম্পাস

মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 01:37:36

 

বৈশ্বিক মহামারি করোনার আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তথাপি করোনা দংশিত ২০২১ সালেও অতীতের মতোই শীর্ষে আছে মার্কিন ক্যাম্পাসগুলো। সারা বিশ্বে শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান চরম অচলাবস্থার মধ্যেও শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

কেন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বসেরা? কারণ, ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সব সময়ই মনোযোগী থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। এগুলো হলো: ১. একাডেমিক দিক থেকে ধারাবাহিক খ্যাতি, ২. অধ্যাপকদের চলমান কৃতিত্ব, ৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ভারসাম্যপূর্ণ অনুপাত, ৪. প্রতি ক্লাস পিছু অধ্যাপকের অধিক সংখ্যা, ৫. আন্তর্জাতিক অধ্যাপকদের ক্রমবর্ধমান অনুপাত এবং ৬. আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দ্রুত বিস্তৃতিশীল অনুপাত।

এসব কৃতিত্বের কারণেই আন্তর্জাতিক সংস্থা কোয়াকার্লি সায়মন্ড (কিউ-এস) নির্বাচিত পৃথিবীর সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় চলতি ২০২১ সালেও বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

একমাত্র যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ছাড়া প্রথম ৫ বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চারটিই যুক্তরাষ্ট্রের। এবছরেও সর্বশীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আমেরিকার প্রবাদপ্রতিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমআইটি। এশীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার উচ্চশিক্ষাগত অবস্থান শোচনীয়ভাবে পেছনে। প্রথম ১০০-তে জায়গা পায় নি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর একটিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে বিশ্বের প্রথম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ৮টি ভারতীয় শিক্ষাকেন্দ্র, যার শীর্ষে অবস্থান আইআইটি-বম্বে এর।

কোয়াকার্লি সায়মন্ড (কিউ-এস)-এর প্রতিবেদন আরও দাবি করা হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি এশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ চাকরি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এবং তার সংখ্যা নেহাতই কম নয়। কিন্তু এতে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো, যেমন জাপান, চীন, কোরিয়া, তাইওয়ানের একচ্ছত্র আধিপত্য বিরাজমান এবং দক্ষিণ এশিয়ার অংশগ্রহণের হার অতি সামান্য।

এ সম্পর্কিত আরও খবর