ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডিসেম্বরে প্রথম দিন থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের পহেলা জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্ণ হয়। কিন্তু সেসময় করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়। মূল অনুষ্ঠান কয়েকবার পিছিয়ে ১ ডিসেম্বর পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে আগামী ডিসেম্বরের প্রথম দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শতবর্ষের তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও শতবর্ষের ‘থিম সং’ পরিবেশন করা হবে। এছাড়া রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত বই, ফটোগ্রাফি অ্যালবাম ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও শতবর্ষ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’র সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ করবেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরকে বিশেষ স্যুভেনির উপহার দেবেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদও বক্তব্য দেবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ওই দিন বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আলোচনা সভা এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
এরপর ২ থেকে ৪ ডিসেম্বর প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা এবং সাড়ে ৫টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও অ্যালামনাইরা এসব আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। খ্যাতিমান শিল্পীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিল্পী ও প্রাক্তনীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেবেন।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জনপ্রিয় শিল্পীদের কনসার্টের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি হবে।