স্থানীয় দোকানির মারধরে রক্তাক্ত চবি শিক্ষার্থী
স্থানীয় সবজি বিক্রেতাদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আনাস মাহদী নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
মঙ্গলবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেটের বাজারে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মারধরের এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২ নং ফটকে বাজার করতে আসেন ওই শিক্ষার্থী। সেখানে সবজি বিক্রেতার সাথে তরকারির দরদাম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এসময় পাশ থেকে আরোও কয়েকজন স্থানীয় বিক্রেতা এসে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় ভুক্তভোগীর মাথায় মোটা বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়।
মারধরের শিকার আনাস মাহদী বলেন, আমি বাজার করার জন্য ২ নং গেটে গেছিলাম। সেখানে (রহমানিয়া হোটেলের পাশের) একটি দোকানে সবজি কিনতে গেলে দেখি দোকানে অন্যান্য দোকানদারদের চেয়ে দাম বেশি চায়। আমি তাকে দাম কমানোর জন্য বললে সে আমার সাথে তুই তোকারী শুরু করে। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে ওই দোকানিসহ আরও চার পাঁচজন মিলে আমাকে মারধর করে। তাদের মধ্য থেকে একজন মোটা বাঁশ দিয়ে আমার আঘাত করে এতে তৎক্ষণাৎ আমার মাথা ফেটে পুরো গেঞ্জি রক্তে ভিজে যায়। সেখানে আমি একা ছিলাম পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বড় ভাই এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে আসে।
তিনি আরও আরোও বলেন, পরবর্তীতে চবি মেডিকেলে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট শেষে প্রক্টর স্যার কে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন এবং আমাকে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে বলেন। পরে আমি হাটহাজারী থানায় একটি একটি সাধারণ ডায়েরি করছি। প্রশাসনের কাছে আমার সাথে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার বিচার চাচ্ছি।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদী হয়ে মামলা করার দাবি জানায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ২নং গেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরায় বাজার করতে যায়। সেখানকার স্থানীয়রা প্রায় শিক্ষার্থীদের সাথে হিস্র আচরণ করে থাকে। তারা আজকে একজন শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করেছে এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হয় আর পরবর্তীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরো বড় কিছু তৈরি হয় তাহলে সেটার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
এ বিষয়ে চবি মেডিকেলের দায়িত্বরত ডা. আতাউল গনি পারভেজ বলেন, মারধরের ঘটনায় তার (ভুক্তভোগী) মাথা থেকে রক্ত ঝরেছে অনেক। আনাস মাহদীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. অহিদুল আলম বলেন, ২ নং ফটকে মারধরের ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক ওই জায়গায় যাই। পরে স্থানীয় দোকানদের সাথে কথা বলে তাকে (ভুক্তভোগী) মেডিকেলে পাঠাই। সে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ নেবে।