হেমন্ত আমাদের নতুন করে বাঁচার প্রেরণা যোগায়। নতুন ধানের সাথে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার এক অপূর্ব মিশেলে হাজির হয় এই ঋতু। আর তাই হেমন্তের তাৎপর্যকে বুকে নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (এমসিজে) বিভাগ আয়োজন করে ‘হেমন্ত উৎসব- ১৪২৮’।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এমসিজে'র ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মার্জিয়া সুলতানা ও মাহবুব সরকারের সঞ্চালনায় এই হেমন্ত উৎসবের সভাপতিত্ব করেন এমসিজে’র বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, প্রভাষক মাহমুদুল হাসান, আলী আহসান, অর্নব বিশ্বাস সহ উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরাও। একই সাথে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত থেকে উপভোগ করে এই অনুষ্ঠান।
আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এমসিজে বিভাগের সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা মিলে গান, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য সহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে হেমন্তের উৎসবে মেতে উঠে। এছাড়া একই সাথে পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করা হয়।
হেমন্ত উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা আলী আহসান বলেন, ‘আমাদের আগের প্রজন্ম ডুবে গিয়েছিল শিল্পবিপ্লবের যুগে। এ যুগে এসে আমরা খেয়াল করি না আমাদের প্রকৃতি, ফুল, ফল ও ঋতু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো। হেমন্তকে জানার মাধ্যমে যাতে এ বিষয়গুলো আমরা খেয়াল রাখতে পারি সে চিন্তা থেকেই এই উৎসব পালন করা।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা আমাদের একটি শিক্ষা দিয়ে গেছে। আমাদের বাঁচতে হলে, জীবন উপভোগ করতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রকৃতির কাছে ফিরে যেতে হবে। হেমন্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা প্রকৃতির কাছে ফিরে যেতে চাই।’
এ উৎসব নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এমসিজে বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সৌরভ সিদ্দিকী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নতুন হিসেবে এটা আমাদের প্রথম কোন উৎসব। করোনার বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে এই অনুষ্ঠান আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আশা করি সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্যে প্রতি বছর একইভাবে হেমন্ত উৎসব পালন করবো।’