জাবিতে মাস্টারপ্ল্যান না করে ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহার ছুটিতে গাছ কেটে নির্মাণ কাজ শুরু না করার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ বিষয়ে স্মারকলিপি জমা দেন ৩ শিক্ষার্থী। এ সময় উপাচার্য তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।

স্মারকলিপি জমাদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস বন্ধকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের অফিশিয়াল কাজ বন্ধ থাকে এমনকি অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভা করার অনুমতিও নেই। তাই আমরা বন্ধে গাছ না কাটতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বন্ধে গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমরা সদা তৎপর। যদি প্রশাসন ভবন তৈরির নামে বন্ধ-ক্যাম্পাসে লুকোচুরি করে গাছ কাটার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা দেখায় তাহলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় প্রশাসন তথা মাননীয় উপাচার্যকেই নিতে হবে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সারা দেশে ‘হিট ওয়েভ’ এর মতো উচ্চ তাপমাত্রাগত পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড় তাপমাত্রা রাজধানী ঢাকার গড় তাপমাত্রার তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম দেখা গেছে, যা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অস্তিত্বশীল বিশেষ প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যেরই ইতিবাচক অবদান।

স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমন একাধিক স্থানে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে যেখানে ভবন নির্মাণ করতে হলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ভিদ কর্তন করা হবে, জলাশয় ভরাট ও লেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে যা প্রাণিকুলের বাস্তুসংস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশগত বৈচিত্র্যের জন্যে অমোচনীয় ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। আমরা সকলেই অবগত আছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে যা মাস্টারপ্ল্যানকে উপেক্ষা করেই হয়েছে। পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিতি ও বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশকে সচেতন ও প্রস্তুত করার বিদ্যায়তনিক দায়িত্বের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনস্বীকার্য ব্যর্থতা।

এছাড়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পরিবেশগত ক্ষতি এড়িয়ে ভবন নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সকল অংশীজনদের অংশগ্রহণে বিশেষজ্ঞনির্ভর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং ও উন্নয়নকার্যে তার অনুসরণ অপরিহার্য। প্রশাসন এই প্রয়োজন উপলব্ধি করে ইতোমধ্যেই একটি ‘মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করায় আমরা সাধুবাদ জ্ঞাপন করছি। তবে, অংশীজনের মতামত ছাড়াই কমিটি প্ল্যান প্রনয়নরত অবস্থাতেই, অর্থাৎ মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বেই তড়িঘড়ি করে ভবন নির্মাণ শুরু হলে প্রশাসনের সদিচ্ছা ও দায়িত্বশীলতা ব্যাপক আকারে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় সব অংশীজনের মতামত ছাড়াই ভবন নির্মাণের জায়গা চূড়ান্ত না করে, মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া প্রণয়ন না করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা সমীচীন নয়।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের জন্যে প্রস্তাবিত ভবন নির্মাণস্থলে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ও জীববৈচিত্র্যের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি জলাশয় রয়েছে যা ভবন নির্মাণকার্যের অংশ হিসেবে ভরাট করতে হবে। এই জলাশয়টি ভরাট হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ। জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও আছে। চারুকলা অনুষদকে পুরোনো আলবেরুনী হল বর্ধিতাংশ সংলগ্ন স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যাতে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ও অতিথি পাখিদের বিচরণ স্থান হিসেবে পরিচিত একটি জলাশয় রয়েছে। এছাড়াও নানা জাতের গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যে এই স্থানটি সমৃদ্ধ। এখানে ছোটো বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে। স্থানটি পরিযায়ী অতিথি পাখিদের ‘ফ্লাইং জোন’ হিসেবেও স্বীকৃত। ভবন নির্মাণার্থে উক্ত লেকে পরিযায়ী পাখির বিচরণ রুদ্ধ হবে ও উদ্ভিদসমূহ কর্তন করা হলে এই অঞ্চলটি ও সার্বিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। কলা ও মানবিকী অনুষদের অংশীজনদের মতামত ছাড়াই বর্তমান প্রশাসনিক ভবনের পেছনে তাঁদের বর্ধিতাংশ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বর্তমান প্রশাসনিক ভবনকে পূর্নাঙ্গকরণের প্রয়োজনীয় কাজে জটিলতা সৃষ্টি করবে।

সবশেষে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ও ভাবমূর্তিগত স্বার্থ আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে যথাযথ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে তার অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেকোনো প্রয়োজনীয় ভবন কিংবা স্থাপনা নির্মিত হোক। আমরা বিনীতভাবে জানাতে চাই যে, মাস্টারপ্ল্যান ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য নষ্ট করে গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলছি এবং আমাদের যৌক্তিক আবেদনের পরেও প্রশাসন যদি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ অনুমোদন করে থাকে তবে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়ার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের৷

   

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে গবেষণা বা পিএইচডি করার জন্য শিক্ষকদের ২০% শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দুইটি দাবি সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

উপাচার্য বরাবর পাঠানো চিঠিতে অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যাপারেও দাবি করা হয়। এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবিও জানায় সংগঠনটি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে আছে। এমনকি কিছু সংখ্যক শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগও আটকে আছে। এসব শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগ জুনের পরে হলে তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয় স্কিম) এ অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এমতাবস্থায়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একটি এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটির বিষয়ে ২০% বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে অনেক শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। অথচ অনেক শিক্ষক নিজ উদ্যোগে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের মাধ্যমে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন এবং তাদের অনেকের এমএস/পিএইচডি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই বাধ্যবাধকতা থাকা অবস্থায়ও এমন কোনো রেকর্ড নেই যে, ইতোমধ্যে কোনো শিক্ষককে শিক্ষা ছুটি প্রদান করা হয়নি।

এমতাবস্থায়, ২০% বাধ্যবাধকতার বিধান রহিত করার দাবি জানাচ্ছি। এটি রহিত না করা পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির আবেদনকরী শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি মঞ্জুর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান এ ব্যাপারে বার্তা২৪.কমকে জানান, দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায় কিছু শিক্ষকের স্থায়িত্ব ও পদোন্নতি আটকে আছে, এগুলো যাতে ৩০ জুনের মধ্যেই সমাধান হয় এ ব্যাপারে আমরা উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি।

এছাড়াও ২০% শিক্ষাছুটি যাতে করে বাতিল করা হয়। কারণ একজন শিক্ষকের বাইরের দেশে যাওয়ার ব্যাপারটা এই কোটার উপর সীমাবদ্ধ নয়, এখানে অনেক পরিশ্রম ও ফান্ডের ব্যাপার আছে। ইতঃপূর্বেও অন্যান্য উপাচার্যগণ ২০% এর ওপরে শিক্ষা ছুটি দিয়েছেন। আমাদের দাবি যাতে করে ২০% শিক্ষা ছুটির শর্তটি রহিত করা হয়।

;

যবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১৩ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি প্রার্থীদের অপহরণ এবং একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাসহ চারজনকে এর আগেও বহিষ্কার করা হয়েছিল। আজীবন বহিষ্কৃত ১৩ জনের বিরুদ্ধেই দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০০তম (বিশেষ) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটরের চাকরি প্রার্থীদের অপহরণের ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং তাদের বিষয়ে ইতোমধ্যে জারিকৃত বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করায় যবিপ্রবি’র ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক রানা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল লাবিব ও মো. আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী, আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে ফাহিম ফয়সাল লাবিবের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই।

এছাড়া চলতি বছরের ৪ জুন দিনগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, মো. বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, মো. আশিকুজ্জামান (লিমন) ও মো. আমিনুল ইসলাম; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান রহমান রাব্বীকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তবে সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন এবং আশিকুজ্জামান (লিমন) ও ফাহিম ফয়সাল লাবিবের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই।

উল্লিখিতদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব নেই, তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

;

কুবি প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অফিসার্স এসোসিয়েশন দাবি আদায়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর দেওয়া এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো- অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেনের ওএসডি নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহারকরণ, সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমান পদের কর্মকর্তাদের গ্রেড ৭ম থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডের স্কেলে উন্নীতকরণ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমান পদের কর্মকর্তাগণ ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে সর্বমোট ১২ (বারো) বছর পূর্ণ হলে সরকারি গেজেট মোতাবেক গ্রেড ৫ম থেকে ৪র্থ গ্রেডের স্কেলে উন্নীতকরণ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে যোগদানকৃত ১২ জন কর্মকর্তাকে যোগদানের তারিখ থেকে সেকশন অফিসার পদে পদায়নের ব্যবস্থাকরণ, অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদেরকে শূন্য পদে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থাকরণ, আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধন কমিটি পুনঃগঠন ও তা দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নকরণ, ডিউ ডেইট থেকে কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ, অর্গানোগ্রাম সংশোধনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশবিশেষ দ্রুততার সাথে কার্যকর করণের ব্যবস্থা গ্রহণ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় বিভাগে (একাডেমিক ভবন) কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষা পারিতোষিক প্রদান করা।

এ দাবিগুলো আগামী সাত দিনের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সময় বেধে দিয়েছে অফিসার্স এসোসিয়েশন।

এ ব্যাপারে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, 'আমাদের দাবিগুলা সাত কর্মদিবসের মধ্যে মেনে নিতে হবে। যদি না মানা হয় তাহলে আমরা ৭ কর্মদিবসের পর কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।'

;

যবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজেন্ট বোর্ডের সভা

রিজেন্ট বোর্ডের সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি প্রার্থীদের অপহরণ এবং একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।আজীবন বহিষ্কৃত ৯ জন এবং বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকায় আরও চার জনসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধেই দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০০তম (বিশেষ) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং সশরীরে সভায় অংশ নেন।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনের পর তা নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উপস্থাপন করার পর তা ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহের বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সময় উদ্ভূত ঘটনাসমূহ রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অবহিত করেন এবং গত ৪ জুন যবিপ্রবি শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা অবহিত করেন।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটরে চাকরি প্রার্থীদের অপহরণের ঘটনায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং তাদের বিষয়ে ইতোমধ্যে জারিকৃত বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করায় যবিপ্রবির ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক রানা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল লাবিব ও মো. আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে ফাহিম ফয়সাল লাবিবের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। উল্লিখিতদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসাথে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায়, গত ৪ জুন দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, মো. বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, মো. আশিকুজ্জামান (লিমন) ও মো. আমিনুল ইসলাম; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান রহমান রাব্বীকে যবিপ্রবির রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন এবং আশিকুজ্জামানের (লিমন) বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। উল্লিখিতদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসাথে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যুগ্ম সচিব ড. মোর্শেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআর’বি-এর বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. আসাদুলগনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহিরয়ার জাহেদী এমপি, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।

;