‘আধার থেকে আলোর পথে শুরু হয়েছে এ যাত্রা, সবার জীবনে দীপাবলি আনুক নতুন মাত্রা’ শ্লোগান নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) পালিত হয়েছে দীপাবলি উৎসব। এ উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে।
শ্যামা পূজা উপলক্ষে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দির প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে দীপাবলি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সাধন রঞ্জন ঘোষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক আশীস কুমার, রসায়ন বিভাগের হোসনেয়ারা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শরীফ হাসান লিমন।
এ সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা মুক্তমঞ্চ, অনিকেত প্রান্তর, স্মৃতিসৌধ ও অদম্য বাংলা প্রাঙ্গনে মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন।
শিক্ষার্থীরা ফানুস উড়ানো, আতশবাজি, পটকা, তারাবাজি, চকলেটবাজিসহ বিভিন্ন রকম বাজি ফুটিয়ে আনন্দের বহি:প্রকাশ করে।
খুবি’র অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষার্থী চৈতি সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শিউলি ফোটা এ হেমন্তের ঘনঘোর অমাবস্যায় দীপাবলির আলোকে চারদিক উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। আলোকের এই ঝর্ণাধারায় সকল অন্ধকার, কালিমা ধুইয়ে নিজেকে ও পৃথিবীকে আলোকিত করতেই এই প্রদীপ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শরীফ হাসান লিমন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রতিবছরই সাধারণ শিক্ষার্থীরা দীপাবলি উৎসব পালন করে থাকে। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী ছাড়া সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে আনন্দ করছে।’
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ২য় ও অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা বা কালীপূজা। শুভ দীপাবলি হচ্ছে আলোর উৎসব। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের প্রতীক শুভ দেওয়ালি বা দীপাবলি। মূলত দীপাবলি উৎসবের মাধ্যমে সুখ, শান্তি, জ্ঞান ও সম্পদ প্রাপ্তির জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
প্রাচীন প্রথা অনুসারে দীপাবলির সন্ধ্যায় মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। মা কালীকে নিয়ে এদেশে যে বিশেষ উৎসবটি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে সেটি হল দেওয়ালি বা দীপাবলি উৎসব।