শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা- সমালোচনার প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসের টং দোকান, হল মসজিদ ও মশার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবৃতি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশা নিরোধের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। মশার উপদ্রব কমানোর জন্য ফগার মেশিনে নিয়মিত ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। মশা নিধনের জন্য আরো কিছু ফগার মেশিন ক্রয় করারও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় , মসজিদে নামাজের স্থানের অপ্রতুলতার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অবহিত আছে এবং তা নিরসনে ইতোমধ্যে বাস্তব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প-২ এ ছাত্রদের হল এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত আছে। ওই এলাকায় ৪তলা বিশিষ্ট ৩২০০ বর্গমিটারের ১টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে। মসজিদ নিমার্ণের জন্য ১৩ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আছে। মসজিদ নির্মাণ শুরু করার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নামাজের জন্য কেন্দ্রীয় মসজিদসহ ৩টি মসজিদ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ক্যাম্পাসে টং দোকানের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে এবং ঝড়-বৃষ্টিতে টং দোকানগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়াসহ ৩টি ফুডকোর্ট এবং হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় ৩টি খাবারের দোকান চালু হয়েছে। কর্মচারীদের জন্য স্বল্প পরিসরে ১টি স্টাফ ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে আইআইসিটির ভবনে ক্যান্টিনও চালু করা হবে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকায় এ বিষয়টি মাথায় রেখে উপযুক্ত স্থানে শীতকালীন ছুটির পরে আরো কয়েকটি ফুডকোর্ট চালু করা হবে। শীতকালীন ছুটির পর নতুন পুরাতন সবক’টি খাবারের ফুডকোর্ট/ক্যাফেটেরিয়া চালু হলে স্বল্প মূল্যে খাবার পরিবেশন নিশ্চিত হবে। ফলে সব উৎকন্ঠার অবসান হবে।