শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২০-২১ সেশনে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে এ-১ ও এ-২ ইউনিটে গত তিন দিনে মাত্র ২৮১ জন ভর্তি হয়েছে।
এ দুই ইউনিটে আসন ফাঁকা রয়েছে আরও ৬৪৪টি। গত ৪ জানুয়ারি থেকে ০৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই ইউনিটের শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায় , তিন দিনব্যাপী সাক্ষাৎকারে দুই ইউনিটের ৯৮৫টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র ২৮১ জন ভর্তিচ্ছু অংশ নিয়েছেন। যা মোট আসনের প্রায় ২৮.৫২ শতাংশ।
তিনদিনের সাক্ষাৎকার শেষে দুই ইউনিটে আসন ফাঁকা রয়েছে ৬৪৪ টি। এর মধ্যে ‘এ-১’ ইউনিটের ১৮টি বিভাগে ৬৪০টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
অন্যদিকে ‘এ-২’ ইউনিটের ৩০ আসনের মধ্যে সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন ২৬ জন ভর্তিচ্ছু। এতে ৪টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ-১’ ইউনিটে ২৫৫ জন ও ‘এ-২’ অনুষদের আর্কিটেকচারে ২৬ জন সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ফাঁকা পড়ে আছে ৭২ শতাংশ আসন।
জানা যায়, তিনদিনের এ ভর্তি কার্যক্রমে এ-১ ইউনিটের মেধা তালিকার ১ থেকে ৯৫৫ পর্যন্ত এবং এ-২ ইউনিটের ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত ডাকা হয়।
তিনদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ টি বিভাগ ভর্তিচ্ছু কোনো শিক্ষার্থী পায়নি। এ-১ ইউনিটের অন্তর্গত শিক্ষার্থী না পাওয়া বিভাগগুলো হল- রসায়ন, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি, জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট, গণিত, সমুদ্রবিজ্ঞান, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিসংখ্যান বিভাগ।
তবে এসব বিভাগে আসন রয়েছে ৪৩৫ টি।
এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘এ-১’ ও ‘এ-২’ ইউনিটে মোট ৯৮৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নিচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ‘বি’ ইউনিটে ৬০২টি আসন রয়েছে। যার ভর্তি কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি।
বি ইউনিটের ভর্তি শুরু আগামী রোববার (৯ জানুয়ারি) থেকে।
রোববারে 'বি' ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে মেধা তালিকার ১ থেকে ২৯৯ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে ।
এছাড়া ১০ জানুয়ারি 'বি' ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভাগ পরিবর্তনে ১ থেকে ২২০ পর্যন্ত এবং একই সাথে ব্যবসায় বিভাগে ১ থেকে ৮৩ পর্যন্ত ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে।
এরপর ১১ জানুয়ারি কোটায় স্থানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘এ-১’, ‘এ-২’ ও ‘বি’ ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫৮৭ আসনের বিপরীতে আবেদন করেন মোট ৩০ হাজার ২৩৭ জন শিক্ষার্থী।