পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও, আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 12:28:17

ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় আজীবন সকল শিক্ষা-কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ।

বহিষ্কৃত ওই শিক্ষার্থী জিএম রাফসান কবির ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাকে ২০২০ সালে সকল শিক্ষা-কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই বিভাগে ‘ডিএমসি-৪০৯’ শীর্ষক কোর্সের ইনকোর্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। যেখানে রাফসান অংশ না নিয়েও ৫০ নাম্বারের মূল্যায়নে ৩৩.৫ পেয়েছেন। এরমধ্যে উপস্থিতিতে ৫ এর মধ্যে ৪, ক্লাস টেস্টে ১০ এর মধ্যে ৬.৫, টার্ম পেপারে ১৫ এর মধ্যে ১০ এবং মিডটার্ম পরীক্ষায় ২০ নাম্বারের মধ্যে ১৩ নাম্বার পেয়েছেন। কিন্তু এসবের কোনটিতেই রাফসান অংশ নেয়নি। তাছাড়া ২০১৯ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমের বাহিরে রয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, সাধারণত কোনো কোর্সের ১০০ নাম্বারের মধ্যে ৫০ নাম্বার কোর্স চলাকালীন ক্লাসে উপস্থিতি, ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট বা টার্ম পেপার ও মিডটার্ম পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।

ওই বিভাগের শিক্ষক বিভূতি ভূষণ শিকদার এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মনগড়া নাম্বার প্রদান করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে নাম্বার প্রদান করলে এমন ভুল হওয়া অসম্ভব, বলে মনে করেন নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক বিভূতি ভূষণ শিকদারের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তার কোন সাড়া মেলেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, বহিষ্কৃতদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও হলে জানানো হয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর থেকে তারা আর আমাদের ছাত্র নয়।

এদিকে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. দিলারা জাহিদ কোভিডের ওপর দায় চাপিয়ে বলে, মহামারির কারণে এমন সমস্যা তৈরি হতে পারে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ওই শিক্ষককে জানিয়েছি। তিনি পরে সংশোধন করে দিয়েছেন। আমার দিক থেকে এখন কোনো সমস্যা দেখছি না আর।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের রাফসানসহ ৬৩ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। পরে একই বছর ০৫ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কৃত ৬৩ শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর