চাকরি-ঠিকাদারির দাবিতে ভিসির গাড়ি আটকালো কুবি ছাত্রলীগ

, ক্যাম্পাস

কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 18:09:59

চাকরি-ঠিকাদারির দাবি নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আব্দুল মঈনের গাড়ি আটকায় কুবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপাচার্য নিজ দপ্তর থেকে খাওয়ার জন্য জন্য নিজ বাসভবনে যাওয়ার সময় গাড়িতে উঠলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার পথ আটকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের কাছে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাদের চাকরি, ঠিকাদারি কাজ দেয়া সহ নানা দাবি জানান। কিন্তু, উপাচার্য তাদের দাবি অনৈতিক দাবি করে একমত না হওয়ায় সভাপতি ইলিয়াস উপাচার্যের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন বলেও জানা যায়।

এরপরই উপাচার্য দুপুরের খাবারের জন্য দপ্তর থেকে নেমে নিজ বাসভবনের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে গাড়ি অবরোধ করেন ইলিয়াস। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কথা বলতে শোনা যায় বলে জানান সেখানে উপস্থিত অনেকে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'কিছু দাবি ছিল তাদের। সে দাবির প্রেক্ষিতেই প্রায় ১০ মিনিটের মতো উপাচার্যের গাড়ি অবরুদ্ধ রেখেছিল তারা। এরপর শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে উপাচার্যের গাড়ি ছেড়ে দেয়।'

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ এ নিয়ে বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা গিয়েছিলাম। মেয়েদের হলের পানি সমস্যা আছে সেটার সমাধানের জন্য গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি।'

চাকরি ও ঠিকাদারির দাবির অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছাত্রলীগের ছেলেমেয়েদের চাকরির জন্য বলেছি। জামায়াত-শিবির তো না তারা। সরকার ক্ষমতায় এখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি চাওয়া তো অন্যায় দাবি না।'

ঠিকাদারি চাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'মেয়েদের হলের পাম্পের সমস্যা এটা লাখ টাকার নিচের কাজ। এই ঠিকাদারি আমরা কেন চাইবো!'

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'উপাচার্য স্যার তাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে লিখিত চাইলে তারা লিখিত দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা এসে বিভিন্ন আবদার করবে কিন্তু সেগুলো যৌক্তিক হওয়া উচিত। উপাচার্য স্যারকে কেউ বলতে পারে না এটা করেন বা এটা বন্ধ রাখেন। কিছু করা বা না করা এটা উপাচার্য স্যারের এখতিয়ার।'

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ.এম. আবদুল মঈনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক ছিল না। কিছু অন্যায় দাবি নিয়ে এসেছিল তারা। আমি এগুলো মেনে নেই নি। তাই তারা আমার গাড়ি অবরুদ্ধ করেছে। আমি বলে দিয়েছি আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর