ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হলের সমস্যা নিরসনসহ প্রচলিত কিছু নিয়ম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। তিনদিনের মধ্যে সংকট নিরসনে কোন পদক্ষেপ না নিলে পুনরায় কর্মসূচি ও অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া নারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন চলাকালে ‘হলে হলে ফার্মেসি স্থাপন’ হলের কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য কমাও, আবাসিক ও অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে (নারী) সকল হলে প্রবেশাধিকার দিতে হবে, খাবারের মান বাড়াও ও ভর্তুকি দাও, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানির স্থাপন, ছাত্রী হলে প্রবেশের সময়সীমা বাড়াও -র মত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, হলে মেয়েদের খাবার পানির সুব্যবস্থা নেই। এজন্য অনেক মেয়ে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এ সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি।
সমাজবিজ্ঞান ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা রিদি বলেন, ডাকসু না থাকার কারণে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মেলবন্ধন নাই। প্রশাসনের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। শিক্ষকরা ঠিকই বেতন নেন কিন্তু হলগুলোতে নূন্যতম কোনো মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা হয় না। আমরা আশা করি, প্রশাসন এই দাবিগুলো মেনে নেবে। প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দূরত্ব কমে আসুক।
এছাড়া মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম সাকাফি বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বক্তব্য দেন।
শিক্ষার্থীদের ছয় দাবিগুলো হলো- অনাবাসিক ও এক হলের ছাত্রীদের অন্য হলে ঢোকার ব্যবস্থা করা; খাবারের মান বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা; পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন করা; হলের কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য কমানো এবং ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ; হলে ফার্মেসী স্থাপন এবং কোনো ছাত্রী রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা; ও অগ্রীম অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া নাম এন্ট্রির মাধ্যমে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গেইট দিয়ে ঢোকার ব্যবস্থা করা।