হঠাৎ উৎসবের আমেজ বইছে চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কেটিং বিভাগে। সদ্য স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের কেউ মেঝেতে আঁকছে নানা রঙের আলপনা, কেউ তৈরি করছে ফেস্টুন। বিভাগের মূল ভবনে ঝুলানো হয়েছে নানা রঙের ব্যানার। একদিকে কেউ নানা রঙের মিশেলে হরেক আকৃতির হ্যান্ডক্রাফট তৈরি করছে তো অন্য দিকে চলছে নাচ-গানের অনুশীলন। স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের সাথে আছে অনুজরাও।
কারণ রাত পেরোলেই এ বিভাগের ২৩তম ব্যাচের ‘পোস্ট গ্রাজুয়েশন সিরেমনি।’ এই অনুষ্ঠান সফল করতেই এত প্রস্তুতি।
প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের বিদায় দিয়ে থাকে বিভাগের অনুজ শিক্ষার্থীরা। তাই জমজমাট এই আয়োজন রীতিমতো বিভাগের বার্ষিক উৎসবে পরিণতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করা হবে এই ‘পোস্ট গ্রাজুয়েশন সিরেমনি’ উৎসব। র্যালির মাধ্যমে শুরু হওয়া উৎসবে থাকছে শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিক আলোচনা, শিক্ষা জীবনের স্মৃতিচারণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন মজার পর্ব।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বিভাগে মূল ভবনের নিচে কথা হয় ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরফাত উদ্দিন মামুনের সাথে।
তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা দীর্ঘ একটি সময় এই ক্যাম্পাসে কাটিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছি। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় কেটেছে এখানে, স্মৃতির ঝুড়িতে জমা হয়েছে অনেক কিছুই। তাই একাডেমিক পড়াশোনা শেষে এটা আমাদের কাছে একটু বেশিই স্পেশাল। পোস্ট গ্রেজুয়েশন সিরেমনির মাধ্যমে সবাই শেষ বারের মত একসাথে মিলিত হবে। কথা হবে, সবার সাথে আড্ডা হবে। দীর্ঘ সময় এক সাথে থাকার স্মৃতি ভুলা তো কঠিন, পুরোনো মিষ্টিমধুর সেই সময়ের স্মৃতিচারণ হবে।
বিভাগের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ডিপার্টমেন্টের দীর্ঘ ৭ বছরের পথচলায় বন্ধুর মতো যেসব সিনিয়রদের ভালোবাসা পেয়েছি আগামীকাল তাদের বিদায় এই প্রিয় আঙিনা থেকে। তাইতো বিগত ক'টা দিন ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে জুনিয়র থেকে শুরু করে সিনিয়র ব্যাচ পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত প্রিয় ব্যাচটাকে সুন্দর একটি বিদায় দিতে। তাই আমরা চেষ্টা করছি খুব সুন্দর এবং শৃঙ্খল একটা আয়োজন করতে।
২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ‘পোস্ট গ্রাজুয়েশন সিরেমনি’ উৎসব সম্পর্কে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তুনাজ্জিনা সুলতানা বলেন, আপনারা তো জানেনই সেশনজটের একটা সমস্যা আছে। তাই সব ব্যাচ সময়মত বের হতে পারে না। তবুও এই উৎসবে তারা পুরোনো যত নেতিবাচক স্মৃতি সব ভুলে ডিপার্টমেন্টের সবার সাথে একাত্ম হয়ে যায়। শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। কর্মজীবনে প্রবেশের এই সময়ে আমাদের দায়টুকু মাথায় নিয়ে তাদের সুন্দর আগামীর জন্য শুভ কামনা রইলো।