আগামী ২০ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফুটবলের পর্দা উন্মোচন হবে কাতারের বৃহত্তম শহর আল-খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে। ফুটবল বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র তিন দিন। বিশ্বকাপের উত্তাপ ছড়াচ্ছে আমাদের দেশেও। যে কারণে প্রিয় দলের জার্সি, পতাকা কেনা ও প্রদর্শনের হিড়িক চলছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে সব সময়ই আলাদা একটা উন্মাদনা কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রাজিলিয়ান সমর্থক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটকে ব্রাজিলের পতাকা টানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, মূলফটকের দুই পাশের পিলারে প্রথমে বাংলাদেশের পতাকা তার নিচে ব্রাজিলের পতাকা লাগানো হয়েছে ৷ তবে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা অন্য আর কোন দেশের পতাকা দেখা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ভিনদেশি পতাকা টানানোর পর থেকে ক্ষোভ দেখা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ভিনদেশি পতাকা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাহপরান আহমেদ শ্রাবণ বলেন, আমরা ফুটবল পছন্দ করি বলে কেউ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানির সাপোর্ট করতেই পারি এটা যার যার ব্যক্তিগত পছন্দ। আমি ব্রাজিলের পতাকা আমার ফোনের ওয়ালপেপারে দিতেই পারি। বাসার ছাদে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পতাকা টানাতেই পারি। কিন্তু দেশের একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যা আমাদের বাংলাদেশকে ধারন করে এমন একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের মেইন গেইটে কিভাবে ভিনদেশের পতাকা সয়লাভ করে গেইট সাজাই! হোক সেটা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইন্ডিয়া,পাকিস্তান! কাজটা কতটুকু শোভনীয় প্রশ্ন রইলো!
ইসলামিক হিস্ট্রি এন্ড কালচার বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আলম নূর বলেন, ভিনদেশী পতাকা নিয়ে এমন উন্মাদনা বাড়াবাড়িই মনে হয়। এমনি ক্যাম্পাসের সামনে এলোমেলো অবস্থা, তার মধ্যে এত বড় বড় পতাকা টানালে শোভা হ্রাস পাবে বৈ কিছু নয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ বলেন, যে দলের ব্যানারই হোক। এটা বিশ্ববিদ্যালয়। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এভাবে পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখা, এটা পজেটিভ দিক নয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। প্রধান ফটক থেকে পতাকা সরানোর নির্দেশ দিয়েছি। খুব দ্রুত সেখান থেকে পতাকা সরানো হবে।