ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট নাজমুন নাহারের পদত্যাগের দাবিসহ বেশ কিছু দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে গেছে।
উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা হলে ফিরে যান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি কোনো ছাত্রী।
ছাত্রীদের অভিযোগগুলোর মধ্যে আছে আসন বরাদ্দে কালক্ষেপণ করা, হলের ক্যানটিনে খাবারের মানোন্নয়নে উদ্যোগ না নেয়া, শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে উদাসীনতা, নানা আশ্বাস দিয়ে পরে তা পূরণ না করা ইত্যাদি।
এসব অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন কুয়েত মৈত্রী হলের অর্ধশত শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রীদেরকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
পরে কুয়েত মৈত্রী হলের এক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, যেখানে অন্য হলে আমাদের সহপাঠীরা প্রথম বর্ষে সিট পেয়ে গেছে, সেখানে তৃতীয় বর্ষ শেষ হতে চললেও আমরা সিট পাইনি, গণরুমে থাকছি। আমাদের আসন না দিয়ে হল প্রশাসন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সিট দিচ্ছে। জানতে চাওয়া হলে কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে, উপাচার্য চলমান শিক্ষাবর্ষকে সিট দেয়ার নিয়ম করেছেন।
সরস্বতীপূজা প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রীদের হলগুলোতে সরস্বতীপূজার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি হলে আলোকসজ্জা, সাউন্ড সিস্টেম সব ক্ষেত্রে প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু আমাদের হলের শিক্ষকরা আসেননি। আলোকসজ্জা তো দূরের কথা, সাজানোর কোনো খবর নেই। আমাদের পাশে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে দুই দিন ধরে আলোকসজ্জা আছে। এই পরিস্থিতি দেখার পর ছাত্রীদের ক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এ কারণেই আমরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রভোস্ট নাজমুন নাহারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।