চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের দফতর ভাঙচুর করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনও আটকে দেন। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ না করায় তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১তম সিন্ডিকেটের সভা শেষেই এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ সিন্ডিকেটের ৫৪১তম সভা ছিল। সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগসহ বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। সাড়ে ৪টার দিকে সভা শেষ হলে ছাত্রলীগের একাকার গ্রুপের নেতা কর্মীরা ভিসির দফতরে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে ছাত্রলীগের এক পছন্দের প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদকে শিক্ষক নিয়োগে সিন্ডিকেট সুপারিশ করেনি। এরপরই ভিসির দফতরের কাপ পিরিচ ও ফুলদানি ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন আটকে দেয় তারা।
চবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও একাকার গ্রুপের নেতা মইনুল ইসলাম রাসেল বলেন, আজকে সিন্ডিকেটে জামায়াত শিবিরের রাজনীতি ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকিদের চাইতে বেশি যোগ্যতা থাকা সত্বেও ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রিসেন্ট কমিটির সদস্য রাইয়ান আহমেদকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। আমাদের প্রথম দাবি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের শিক্ষক থেকে বাদ দিতে হবে। আর দ্বিতীয় দাবি হল ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী রাইয়ান আহমেদকে মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী উপাচার্যের দফতরে হামলার চেষ্টা করেছিল। পরে আমরা তাদের সরিয়ে নিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।