জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয়েছে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন রচিত ‘নিমজ্জন’ নাটক। নাট্যকলা বিভাগের দ্বিতীয় আবর্তনের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা প্রযোজনা হিসেবে নাটকটি প্রদর্শিত হয়।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান শামস শাহরিয়ার কবি'র নির্দেশনায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।
’নিমজ্জন’ নাটকে আগন্তুক চরিত্রে মাজেদ আহমেদ ও সাদ্দাম হোসেন, ভিক্ষুক চরিত্রে মাহাবুবুর রহমান, চাবিওয়ালা চরিত্রে মো. এনামুল হাসান কাওছার, গেস্ট হাউজের মালিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক (আগন্তুকের বন্ধু) চরিত্রে মো. ইমরান হোসেন, কবি চরিত্রে সাজ্জাত হোসেন, সাহিত্যের অধ্যাপক চরিত্রে ইমরান হাবীব, ইকোলোজিস্ট চরিত্রে হাফসা ফারিহা উর্মী, ইন্টোরেগেশন অফিসার হিসেবে তাকরিম, উর্মী, সাজ্জাত এবং যুবক চরিত্রে ছিলেন শান্ত।
কোরিওগ্রাফি দলে ছিলেন নিশা, বাবলু, মিম, অনামিকা, কর্ণা, অনন্যা, সোমালি, মুস্তাকিন, মুগ্ধ। আবহ সঙ্গীতে ছিলেন শৈলী, খুশি, শোভন, নওমী, হিয়া, পলক, নিশা ও রিয়াজ। দ্রব্যসামগ্রী প্রয়োগে ছিলেন সাজ্জাত, অনামিকা, সোমালি, কর্ণা, শান্ত, উর্মী ও ইমন। পোশাক পরিকল্পনা সহযোগী ছিলেন উর্মী, মাহবুব ও সাদ্দাম। মুখোশ নির্মাণে ছিলেন জেরিন চাকমা ও মীম। প্রচার ও প্রকাশনায় ছিলেন ইমন ও কাওছার। সেট নির্মাণ ও প্রয়োগে ছিলেন রঞ্জন, মাহবুব, নোভা, তামান্না, শ্রাবন্তী, অভিজিত, ইয়াছিন, ফিজা, কাকন, আনোয়ার, ব্রতী, সৌমিক, রুদ্র ও রাজিন। পাণ্ডুলিপি সম্পাদনায় ছিলেন কাওছার। ফ্লোর ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন মাহাবুবুর রহমান ও সাদ্দাম হোসেন।
নাটকটি প্রদর্শনের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন রচিত এই নাটকটি বিশ্বের সব গণহত্যাকে উপজীব্য করে নির্মিত। এই নাটকের মাধ্যমে গণহত্যাকারীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। গাওয়া হয়েছে মানবিকতার জয়গান।