ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী। তবে আতঙ্কে হলের গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন। অহেতুক ঝামেলা এড়াতে অনেকেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রাজ্জাক জানান, আতঙ্কিত বিষয়টি এমন না, সাংবাদিকরা অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা সরে যাচ্ছে। সাধারণ ছাত্রীরা কী বলবে, এটা ভেবে ভয় পেয়ে থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা হলে ছয়টি গণরুমে থাকেন অন্তত ১৩২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে একটিতে সর্বোচ্চ থাকেন ৩২ ছাত্রী। বাকি কক্ষে থাকেন ১৬ জন করে এবং একটিতে ১০ জন। বর্তমানে কতজন আছে সে তথ্য আমার কাছে নেই, তবে সন্ধ্যায় আয়াকে দিয়ে খোঁজ নিয়েছি গণরুম একটু ফাঁকা, তবে এখনও অনেক ছাত্রী রয়েছেন। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে দু-চারজন বাড়িও যেতে পারেন। তবে সংখ্যাটা খুব বেশি না।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, নির্যাতনে জড়িত থাকা দুই শিক্ষার্থী সানজিদা ও তাবাসসুম হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হল ছেড়েছেন। তারা কোথায় গেছেন, সে বিষয়ে আমাদের জানায়নি।
এবিষয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। দিনের বেলা কেউ বাড়ি গেলে সে তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না। তবে রাতের বেলা কেউ বাড়ি গেলে সে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।