ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আজ সোমবার থেকে শুরু। বিকেল ৪টার পর শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
সাধারণ ভর্তি কমিটির পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবেদন করা যাবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। ১৮ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
জানা যায়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণি’ পরিবর্তন করে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’ নামকরণ করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নামকরণ করা হয়। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে চারটি ইউনিটের মাধ্যমে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ইউনিট চারটি হলো—কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিট। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার (হিজড়া) কোটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। ১৮ এপ্রিল থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৬ মে, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১২ মে, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ মে এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) আগামী ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। সব ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্য তিনটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনের যোগ্যতা ও মানবণ্টন
সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা ও পরীক্ষার মানবণ্টনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক (এসএসসি) বা সমমান এবং ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার (চতুর্থ বিষয়সহ) জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৮ ও আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫০; কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য দুই জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৭ দশমিক ৫০ ও আলাদাভাবে ৩; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য এসএসসি-এইচএসসির জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৭ দশমিক ৫০ ও আলাদাভাবে ৩ এবং চারুকলা ইউনিটের জন্য জিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৬ দশমিক ৫০ ও আলাদাভাবে ৩ থাকতে হবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এবার ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা হবে। চারুকলা ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় থাকবে। অন্যান্য ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় ঠিক করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং এসএসসি বা সমমান ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।