দেশের সব মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে বেলা ১১টা পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা দেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজের মোট ৫৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত ভর্তি নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন রয়েছে ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১২ জন পরীক্ষার্থী।
জাহিদ মালেক জানান, ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করার জন্য দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি, সাংবাদিক ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ওভারসাইট কমিটি এবং অভিজ্ঞ মেডিকেল শিক্ষকদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নম্বর সমতাকরণের জন্য আলাদাভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করাসহ পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার আগেই কেন্দ্রে প্রবেশ করা, পরীক্ষার হলে ডিভাইস পাওয়া গেলে তার উত্তরপত্র বাতিল, কোচিং সেন্টার বন্ধ, পরীক্ষার সময় দুই কান ঢেকে না রাখাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র/ রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং রিফিল দেখা যায় এমন কালো কালির বলপয়েন্ট কলম নিয়ে নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টার পূর্বেই প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষার হলে মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, হাতঘড়িসহ অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ডিভাইস পাওয়া গেলে অথবা কাউকে এ ধরনের কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে দেখা গেলে তাঁর উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালে দুই কান ঢেকে রাখতে পারবেন না। হল পরিদর্শকেরা উত্তরপত্রে স্বাক্ষর প্রদানের সময় শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীর মুখমণ্ডলের আবরণ খোলার নির্দেশনা দিতে পারবেন।
প্রবেশপত্র অনুযায়ী উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট স্থানে স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে ও স্পষ্টভাবে নাম লিখতে হবে। উত্তরপত্রের নির্দিষ্ট বৃত্তগুলো ভরাট করা এবং নির্দেশিত স্থানে যথাযথ তথ্য প্রদান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে কিছু লেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং লিখলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
পরীক্ষার্থীকে অসুদপায় অবলম্বন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে অথবা অন্যের সাহায্য নিতে বা অন্যকে সাহায্য করতে দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাঁর উত্তরপত্র বাতিল করা হবে।
পরীক্ষার্থীকে হল পরিদর্শকের নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং হল পরিদর্শকের অনুমতি ব্যতীত পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করতে দেওয়া হবে না।