চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকটি উপপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুটি উপপক্ষের সংঘর্ষে ছয় ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছিলেন। এর রেশ ধরে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতেও সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুটি। এর মধ্যে নতুন করে আরও দুটি উপপক্ষ সংঘর্ষ জড়ালে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। দুই দফায় হওয়া এই সংঘর্ষ থামার পর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দুটি হলে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজনকে আটকসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে প্রক্টরিয়াল বডি।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭ টায় চারটি উপপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত চুজ ফ্রেন্ড উয়িথ কেয়ার (সিএফসি) একাংশ ও যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াসের অনুসারী বিজয় গ্রুপ। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রেজাউলকে মারধর করে দৌড়ানি দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
অন্যদিকে শাহ জালাল হলের সামনে বৃহস্পতিবারের ঘটনার রেশ ধরে সংঘর্ষে জড়ায় সহসভাপতি সাদাফ খানের অনুসারী সিএফসির একাংশ ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী সিক্সটি নাইন গ্রুপ। দুটি পক্ষ শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের চারজন আহত হন।
সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষগুলোর মধ্যে সিএফসি ও বিজয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যদিকে সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা-কর্মীরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীনের পেছনে রাজনীতি করেন।
এদিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত ১০টায় প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ঘণ্টাব্যাপী দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় শাহ আমানত হল থেকে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা সবাই বহিরাগত বলে জানা গেছে।
অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার। তিনি বলেন, দুটি হল থেকে বেশকিছু লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্টাম্প ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আবার যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’