নবীনদের পদচারণায় মুখরিত ঢাবি ক্যাম্পাস

বিবিধ, ক্যাম্পাস

সোহানুর রহমান, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 14:40:53

ভর্তিযুদ্ধ পেরিয়ে এবার ঢাবির প্রথম বর্ষে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী। শীতকালীন ছুটি ও জাতীয় নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই নবীনদের পদচারণা আর কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), বটতলা, মলচত্বর, হাকিম চত্বর, মিলন চত্বর, কেন্দ্রীয় পাঠাগার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও কার্জন হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় চোখে পড়ে নবাগতদের দলগত আড্ডা ও ঘোরাঘুরি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে। কয়েকটি বিভাগ ব্যতীত অধিকাংশ বিভাগের ক্লাস ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আপন নিবাস ছেড়ে চলে এসেছেন তাদের স্বপ্নের ক্যাম্পাসে।

ফলে ক্যাম্পাসের প্রধান আড্ডাস্থলগুলোতে পুরনোদের পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন আরও কতগুলো মুখ। স্কুল-কলেজের ধরাবাঁধা নিয়মের গণ্ডি পেরিয়ে এ নবীনরা যেন খোলা আকাশে উড়ার সুযোগ পেয়েছে।

ক্লাসের পরে বিকালে আড্ডা দেওয়া ছাড়াও রাত-বিরাতে চষে বেড়াচ্ছেন তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা। ঘুরে ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, ভাস্কর্য ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো। অগ্রজদের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন অজানা জায়গা ও বিষয়গুলো।

কঠোর অধ্যবসায় ও দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে স্বপ্ন পূরণের রাস্তায় এসে তাদের মুখে প্রস্ফুটিত হচ্ছে সাফল্যের মিষ্টি হাসি ও উল্লাস। ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে আনন্দ-উল্লাস আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে অধিকাংশ সময় পার করছেন এই নতুন মুখগুলো।

দেখে মনে হয় অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়ার পর উদ্দিষ্ট গন্তব্যে এসে যেন এক স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেছেন এই নবাগতরা। অনেকে প্রকাশ করেছেন তাদের কোমল-মিষ্টি অনুভূতি ও প্রাণচঞ্চলতা।

কথা হয় টিএসসির অভ্যন্তরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডারত বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাশরিফা জাহান শিফার সঙ্গে। তিনি বলেন, 'অনেক ভালো লাগছে। স্বপ্নের ক্যাম্পাস। এতো বড়! স্বপ্নের মতো একটা সৌন্দর্য! সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে।'

বটতলায় আড্ডা দেওয়া শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র মুন্নাফ হোসেনের কাছে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এমন সুন্দর পরিবেশে বন্ধুদের সঙ্গে একসাথে আড্ডা দিচ্ছি। অনেক ভালো লাগছে।'

তবে গেস্টরুম, ক্যান্টিনের খাবার ও হলে থাকা নিয়ে দুঃখবোধও রয়েছে অনেকের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের বাসিন্দা প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'ভালো লাগছে তবে প্যারাও আছে। বিষয়টা হলো সুখ ও যন্ত্রণার সংমিশ্রণ। হলে থাকতে ও ক্যান্টিনের খাবার খেতে কষ্ট হয়। রাজনৈতিক অনেক প্রোগ্রাম ও গেস্টরুমও করতে হয়।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর