অবন্তিকার মৃত্যুতে জবি শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

বিবিধ, ক্যাম্পাস

জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-03-16 18:00:20

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুর জন্য দায়ীদের অবিলম্বে বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে সোমবার (১৮ মার্চ) ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- অবন্তিকার আত্মহত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে, অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেফতার, জরুরি সিন্ডিকেট আহ্বান করে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার, ভিকটিমের পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল কার্যকর করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইভান তাহসিব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, অবন্তিকা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণটাই দিয়ে দিলো। নিজে আত্মহত্যার বিরোধী ছিল। তারপরও বিচার না-পেয়ে সেই পথেই পা বাড়িয়েছে সে। তৎকালীন প্রক্টরের কাছে বারবার অভিযোগ নিয়ে গেলেও সমাধান না পেয়ে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে তাকে। আমরা দ্রুত এর বিচার চাই।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফাইরুজ অবন্তিকা নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক ছাত্রী কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের মৃত্যুর জন্য নিজের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন। এরপরই ঘটনার বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামেন জবি শিক্ষার্থীরা।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শুক্রবার রাত ২টার দিকে আম্মান সিদ্দিকী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া পোস্টে লেখেন, দুই বছর আগে অবন্তিকা নিজেই ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদমূলক কথা লেখেন। পরে বিষয়টি সে নিজে স্বীকার করে নিলে প্রক্টর অফিস থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। এরপর অবন্তিকার পরিবারের পক্ষে তার বাবা এসে অঙ্গীকার নামা দেন যে, তার মেয়ে ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবে না।

এ সংক্রান্ত জিডির কপি, কারণ দর্শানোর নোটিশ, অঙ্গীকারনামা এবং কিছু মেসেঞ্জারে আসা মেসেজের স্ক্রিনশট লেখার সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন আম্মান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর