জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর।
সোমবার ( ১৮ মার্চ) রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রক্টরের পদে নিয়োগ প্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীর বার্তা২৪.কমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে দায়িত্ব পালনকালে সবাইকে পাশে পাবো।
এদিকে সদ্য সাবেক প্রক্টরের পদত্যাগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রক্টরের পদত্যাগ প্রমাণ করলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষকের সহায়তাকারীর কোনো স্থান নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরাধের রাজ্য গড়ে তোলার কারিগর ফিরোজ উল হাসানের অপসারণ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। আমরা তাকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যাতে করে আগামীতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কেউ এরকম দুঃসাহস করতে সামান্যতম সাহসও না দেখায়।
বর্তমানে নবনির্মিত শহীদ তাজউদ্দীন হলের প্রাধ্যাক্ষের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর ইতোপূর্বে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যাক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য ছিলেন। এছাড়া ২০২১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের ধর্মীয় উপকমিটির সদস্যও তিনি।
অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীর ১৯৯৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ হতে বিএসসি (স্নাতক)-তে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে একই বিভাগ হতে এমএসসি (স্নাতকোত্তর)-তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর তিনি ২০০০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পরিসংখ্যান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
এছাড়া ২০১৪ সালে অধ্যাপক আলমগীর কবির বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপের অধীনে ইউনিভার্সিটি অব মালয়া (ইউএম), মালয়েশিয়া থেকে ফলিত পরিসংখ্যানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।