বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রবেশের প্রতিবাদ জানিয়ে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের শুরুতে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করলেও দাবি সমূহে কিছু পরিবর্তন এনে আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
জানা যায়, এ আন্দোলনে তাদের দাবি ছিল ৩০ মার্চ সকাল নয়টার মধ্যে ছয়দফা দাবি মেনে নেয়া। সকল দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে এবং দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে লিখিত দিতে হবে। তাছাড়াও তাদের আরেকটি দাবি ছিল ডিএসডব্লিউ এর দায়িত্ব অবহেলা করার দায় স্বীকার করা। তবে এ সকল দাবি থেকে কিছুটা সরে এসে আরও কঠোর দাবি নিয়ে সকাল থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩০ মার্চ) সরেজমিনে বুয়েট ফটকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসব তথ্য জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধায় উপাচার্য এসে আমাদের আংশিক দাবি মানার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল ৩০ মার্চ সকাল নয়টার মধ্যে আমাদের সকল দাবি মেনে নেয়া। তবে আমাদের সকল দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। এবং আমাদের সকল দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে লিখিত দিতে হবে। তাছাড়া আমাদের আরেকটি দাবি ছিল ডিএসডব্লিউ এর দায়িত্ব অবহেলা করার দায় স্বীকার করা। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালন তো করেননি, বরং বলেন রাত তিনটায় তোমাদের নিরাপত্তা দেয়া আমার কাজ না।
তারা আরো জানান, ঘোষিত এক ও দুই নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল নয়টার মধ্যে না মেনে নিলে ডিএসডব্লিউ (ছাত্রকল্যাণ দফতরের পরিচালক) এর পদত্যাগের দাবি ছিল। কিন্তু আমাদের সেটি পরিবর্তন হয়ে, দায়িত্ব অবহেলা করার তার পদত্যাগ করতে হবে। প্রথম দুটি দাবি পূরণ শর্ত নয়। আমরা আজ বুয়েটের সকল প্রবেশপথে আমরা অবস্থান নেব।