সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয়) বাতিলের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তিনদিন ধরে টানা আন্দোলন করছেন। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বুধবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ড. নিজামুল হক বলেন, ওবায়দুল কাদের বুধবার সন্ধ্যায় আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে সময় দিয়েছেন।
এ ঘোষণার পরেও শিক্ষকদের কর্মসূচি চলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক আন্দোলন চলতে থাকবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম টানা তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে এক ব্যাখ্যায় বলেছে, ১ জুলাই থেকে এই স্কিম শুরু হয়েছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই বা এরপর যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। ১ জুলাইয়ের আগে যোগদানকারীরা পুরনো নিয়মেই পেনশন পাবেন। অনুরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছে, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও।
এক বার্তায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩০ জুনের আগে চাকরিতে যোগদানকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নতুন স্কিমে যুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকদের তিনটি মূল দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন।