সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করতে হবে। এই এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’র মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজারো শিক্ষার্থী। এ সময় মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কারকামীদের মিছিল শুরু হয়। এ সময় মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে জানান, বিভিন্ন হলে আমাদের ভাইয়েরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, তাদেরকে জোর করে মধুর ক্যান্টিনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন হলে আমরা হাজারো শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিন থেকে তাদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে আসব। কিছু সময় আগে থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন। ঢাবির হল ছাত্রলীগের শীর্ষপদ প্রত্যাশীরা নিজ নিজ হল থেকে মিছিল নিয়ে এসে মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে যেন হলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকতে না পারেন, সেজন্য মধুর ক্যান্টিনে কর্মসূচি দিয়ে রাখে ছাত্রলীগ। এছাড়া হলের অভ্যন্তরীণ পলিটিক্যাল মেসেঞ্জার গ্রুপগুলোতে শিক্ষার্থীদের সংগঠনের 'কনসার্ন' ছাড়া কোথাও না যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
তারা আরও জানান, 'যখনি কোটা আন্দোলনের সময় হয় তখনি শীর্ষ পদ প্রত্যাশীরা রুমে এসে জানান দেন মধুর ক্যান্টিনে 'প্রোগ্রাম' আছে, যেতে হবে'।
মধুর ক্যান্টিনে সরেজমিন গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে বিভিন্ন হলে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে পরে মন্তব্য করব। এখন নয়।’
আজ মধুর ক্যান্টিনে বিশেষ কোনো কর্মসূচি আছে কী না জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশেষ কোনো প্রোগ্রাম নয়। নিয়মিত প্রোগ্রাম চলছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সূর্যসেন হলের কলাপসিবল গেট আটকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ।