২০১৮ সালে পরিপত্র জারি বহালের জন্য যে দুই শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেছিলেন তারা তাদের কেউ নন বলে জানিয়েছেন সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় শাহবাগে সংবাদমাধ্যমের কাছে এই তথ্য জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা দাবি করেছি, কোটা সংস্কারের বিষয়টি সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চাই’।
এদিকে, বুধবার সন্ধ্যার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সে ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত 'ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, সায়েন্স ল্যাব, কারওয়ান বাজার এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন। এসময় জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া আর কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেননি তারা।
হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের স্থিতিবস্থা জারি
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতিবস্থা জারি করেন।
এদিকে, নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সুবিধা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতিবস্থাকে 'প্রহসন' বলে মন্তব্য করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আমরা বার বার বলছি, আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। কিন্তু হাইকোর্ট যেগুলো করছে 'পেছানো', 'স্থগিত করা', 'এক মাস, দুই মাস', 'এক সপ্তাহ' এগুলো প্রহসনের চরমমাত্রা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'র ব্যানারে 'বাংলা ব্লকেডের' অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, চানখারপুল, সায়েন্সল্যাব মোড়, আড়ারগাঁও এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণ।