রাকসু নির্বাচনের সংলাপে বসতে গঠনতন্ত্র জমা

বিবিধ, ক্যাম্পাস

রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 21:26:50

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (রাকসু) সংলাপে বসার জন্য এখন পর্যন্ত ১০ ছাত্র সংগঠনের গঠনতন্ত্র জমা পড়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপে বসতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সংলাপেই উঠে আসবে রাকসু নিয়ে প্রতিটি সংগঠনের চাওয়া-পাওয়া। ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল অরাজনৈতিক দল যারা তাদের দলের গঠনতন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি তাদেরকেও সংলাপে ডাকা হবে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রাকসু নির্বাচন সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাকসু সংলাপ কমিটির সভা শেষে অধ্যাপক লুৎফর রহমান ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর কাছে তাদের নাম, নিবন্ধনপত্র ও গঠনতন্ত্র জমা দেয়ার আহ্বান করেন। এরপর মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব কাগজপত্র সংগ্রহ শেষ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কস), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (লেলিন) বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন তাদের গঠনতন্ত্র ও কার্যকরী কমিটির তালিকা জমা দিয়েছে।

রাকসু সংলাপ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসে যে সকল নিবন্ধিত ছাত্র সংগঠন তাদের কাগজপত্র জমা দিয়েছে তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনায় বসা হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা কাগজপত্র জমা দেয়নি পরবর্তীতে তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় সংলাপ কমিটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার জন্য জানানো হয়েছে।

সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'দশটি দলের কাগজপত্র পেয়েছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকেই সংগঠনগুলোকে ধারাবাহিকভাবে সংলাপের জন্য ডাকা হবে।'

এককভাবে কোন শিক্ষার্থীর নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, 'কোন শিক্ষার্থী যদি এককভাবে নির্বাচন করতে চায় সেই সুযোগও রয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগের অনুমোদন লাগবে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীকে তার বিভাগের সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি রাকসু সংলাপ কমিটির কাছে জমা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। তবে যদি বিভাগ থেকে সেই শিক্ষার্থীকে অযোগ্য কিংবা অছাত্র ঘোষণা করে তাহলে সে আর প্রার্থী হতে পারবে না।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর