ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে সিনিয়র এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অপর এক জুনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে লালন শাহ হলের ৪১৫ নম্বর রুম এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মিনহাজুল হক রুমন। সে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম এনামুল হক ইমন। সে আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এদিকে অভিযুক্ত ইমন ৭ থেকে ৮ জনের সংঘবদ্ধ দল নিয়ে উক্ত রুমে ঢুকে ভুক্তভোগী রুমনকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। এসময় তার সাথে শ্রাবণ (আইন ২১-২২), রোজ (আইন ২০২২-২৩) ছিলেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ভুক্তভোগী রুমন তার নিজ রুমে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল আচমকা তার রুমে প্রবেশ করে। রুমে প্রবেশ করেই তারা ভুক্তভোগীর উদ্দেশ্যে সে ছাত্রলীগের পদধারী কিনা সে বিষয়ে জেরা শুরু করে। তারা কয়েকজন বলতে থাকে যে রুমন ভাই ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা, জয়ের (ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়) কাছের লোক। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও চিল্লাচিল্লির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী রুমন বলেন, গতকাল মেইন গেটে বসে থাকা অবস্থায় আমাকে বলা হয়েছিল যে আপনি সাবধানে থাকেন আপনার উপর হামলা হতে পারে। আজকে রাতে আমি হলেই ছিলাম। এর মধ্যে আনুমানিক ১০-১২ জনের একটি দল আমার রুমে ঢুকে তুইতোকারি শুরু করে। তারা আমাকে বলে যে তুই ছাত্রলীগের পোস্টেড, তুই হল থেকে নেমে যা। তাকে প্রমাণ দেখাতে বললে সে কিছুই দেখাতে পারিনি। এসবের মূলহোতা আইন বিভাগের ইমন, সেই প্রথমে আমার গায়ে হাত তুলছে এবং আমার রুমমেটদের হেনস্থা করছে। আমি হল না ছাড়লে নাকি আরো বড় সমস্যা হবে। আমি এর প্রতিকার চাই।
অভিযুক্ত ইমন বলেন, সে আদৌ ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা তার রুমে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাদের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করে এবং আমাদের সামনে চাকু পর্যন্ত ধরে। আমরা সমন্বয়কদের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তার কাছে গেছিলাম। উনি তো ছাত্রলীগের ক্যাডার, এর আগেও ছাত্রলীগের প্রভাব নিয়ে জুনিয়রদের মারছে।
ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ইমন নামের ওই ছেলেকে আমি চিনিনা। আজ লালন হলের কোন ছেলেকে নামিয়ে দেয়ার সময় আমাদের সমন্বয়ক পরিষদের কেউ যায়নি। যেহেতু বিষয়টা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানিনা, তাই এখন সেভাবে কিছু বলতে পারছি না। তবে, ছাত্রলীগের নেতাদের অনুরোধ করবো প্রশাসন আসার আগ পর্যন্ত হলে না আসতে। আসলে তা বিশৃঙ্খলার কারণ হতে পারে।