ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা হত্যা মামলার চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসানকে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের আন্দোলনে শেরেবাংলা নগরের ফুলমার্কেট অঞ্চলে হাফিজুর রহমান সুমন (৪২) সন্ত্রাসীদের হমলায় জখম হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর আসামি করে একশ জনের অধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করে নিহত হাফিজুরের স্ত্রী বিথি আক্তার। মামলায় নাম অন্তর্ভুক্তিকরণে ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা শেকৃবি শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসানের নাম তালিকার ৭১ নম্বরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আসছিলো।
এ বিষয়ে খোঁজ নিলে জানা যায়, বাদী নিজেও অবগত ছিল না কীভাবে হত্যা মামলার তালিকায় শেকৃবি শিক্ষকের নাম যুক্ত হয়েছে।পরবর্তীতে সব অভিযোগ যাচাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী এই অধ্যাপকে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, কৃতজ্ঞতা মহান আল্লাহর প্রতি, যিনি সর্বদা সত্যের পক্ষে থাকেন। এছাড়া আমার অনুষদের শিক্ষার্থী, প্রক্টর অধ্যাপক বাসার স্যার এবং উপাচার্যের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা। সবাই যেভাবে সহযোগিতা করেছে এই ঋণ শোধ হবার নয়।
শেরে বাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল বলেন, মামলাটি এজাহারভুক্ত হওয়ার আগেই যাচাই করা হয়। মূলত প্রাথমিক স্টেজে ছিল। অভিযোগ অসত্য থাকায় পরবর্তীতে বাদি নিজেই শেকৃবি শিক্ষকের নাম সরিয়ে নেয়, যার প্রেক্ষিতে অব্যাহতি পান তিনি।