রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আবু সাঈদ হত্যায় জড়িত থাকায় দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ১০৮তম সিন্ডিকেট সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, আবু সাঈদ হত্যার জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আলাদা মামলা করা হবে। জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকি ৭২ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে তিন ক্যাটাগরি রয়েছে। যাদের পড়াশোনা শেষ তাদের বিরুদ্ধে তো মামলা হবেই। কিন্তু যাদের পড়াশোনা চলমান আছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং তাদের একাডেমিক বহিষ্কার করা হবে। কাকে কোন ধরনের একাডেমিক শাস্তি দেওয়া হবে তা শৃঙ্খলা বোর্ড ঠিক করবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গেজেট অনুযায়ী কোনো শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী রাজনীতিতে জড়িত থাকতে পারবেন না। কেউ যদি জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন এতদিন তো ক্যাম্পাসে হয়ে আসছে, তার উত্তর আমার কাছে নেই। তবে এখন যদি আমরা পাই আমরা গেজেটের আলোকে ব্যবস্থা নিব।
উপাচার্য বলেন, যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বেতন ভাতা কর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিন্ডিকেট বোর্ড সেটির দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রদের নৈতিক ও একাডেমিক শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধায়ন ও নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হলের সিট বাণিজ্য ও দখলকারী লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বন্ধ থাকবে বলে জানান উপাচার্য।